ভারতে ব্যাপক ধরপাকড়, ‘অবৈধ বাংলাদেশী’ সন্দেহে গ্রেপ্তার ৬০

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: ভারতের কর্নাটকে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। এ পর্যন্ত অন্তত ‘অবৈধ বাংলাদেশী’ সন্দেহে ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্য-পুলিশ, যাদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু। শনিবার দিনভর শহরের বিভিন্ন বস্তিতে অভিযান চালিয়ে এই ব্যক্তিদের আটক করা হয়, যাদের কাছে ভারতে বৈধভাবে থাকা বা কাজ করার মতো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল না বলে পুলিশের দাবি।

ওই রাজ্যের বিজেপি সরকার ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, অবৈধ বিদেশিদের শনাক্ত করতে তারা কর্নাটকেও আসামের ধাঁচে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জী তৈরি করতে চায়। এমন কী সেখানে একটি ‘ফরেনার্স ডিটেনশন সেন্টার’ বা বন্দী-শিবির তৈরির কাজও শেষ পর্যায়ে, যেখানে অবৈধ বিদেশিদের আটক রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।

বস্তুত আসামের পর ভারতের যে সব রাজ্যে ইদানীং কথিত অবৈধ বাংলাদেশী তাড়ানো বা এনআরসি অভিযান চালু করার হিড়িক পড়েছে, তার অন্যতম হল দক্ষিণ ভারতের কর্নাটক। ওই রাজ্যের বিজেপি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজা বোম্মাই এসপ্তাহেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যে বিদেশি নাগরিকরা সেখানে বেআইনিভাবে থাকছেন তাদের ডেটাবেস তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে।

বাসবরাজা বোম্মাই বলেন, “কোন অভিবাসীরা এখানে বৈধভাবে বা পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে আছেন আর কাদের সেসব নেই, বেআইনিভাবে এখানে আছেন আমরা সেই তথ্য সংগ্রহ করছি।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “সীমান্ত পেরিয়ে যারা দক্ষিণ ভারতে এসেছেন – তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোক কিন্তু ঢুকেছে কর্নাটকেই, ব্যাঙ্গালোর ও অন্যত্র তারা থাকছেন। একে তো তাদের কাগজপত্র নেই, আরও উদ্বেগের বিষয় হল তারা নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছেন। এখানে আমরা সেটাই করতে চাই, কর্নাটকের স্থানীয় মানুষের জীবন শান্তিতে রাখার জন্য যেটা করা দরকার।”

সরকারের এই ঘোষণার চারদিনের মাথাতেই গতকাল ব্যাঙ্গালোরের মারাঠাহাল্লি, বেলান্ডার ও রামমূর্তি নগর – এই তিনটি এলাকার বস্তি এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ অন্তত ৬০জনকে গ্রেফতার করে।

এদেরকে ‘সন্দেহভাজন বাংলাদেশী’ বলে বর্ণনা করা হচ্ছে, কারণ পুলিশের মতে এদের বাংলা ভাষার ডায়লেক্ট নাকি পশ্চিমবঙ্গের কথ্য বাংলার সঙ্গে একেবারেই মেলে না।

পূর্ববর্তি সংবাদভাড়াটে বুদ্ধিজীবীরাই শুধু সরকারের পক্ষে কথা বলতে পারে : গয়েশ্বর
পরবর্তি সংবাদযৌ তু ক: এক অভিশপ্ত সামাজিক ব্যধি, বহু কবীরা গুনাহর সমষ্টি