ভোলার ঘটনা ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ ঘটিয়েছে: জাফরুল্লাহ চৌধুরী

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ভোলার ঘটনা ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ ঘটিয়েছে। এবার ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী ভারতকে খুশি করতে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে যে সব চুক্তি করেছেন তা নিয়ে দেশব্যাপি ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এ নিয়ে সমালোচনা করায় বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে হত্যা করা হয়েছে। এতে ভারত বিরোধী জনমত আরও ফোঁসে উঠে। ভারত বিরোধী এই সমালোচনা বন্ধ করতেই ‘র’ ভোলার ঘটনা ঘটিয়েছে।

তিনি বলেছেন, ভোলার ঘটনা নিয়ে আমি বিশ্লেষণ করতে চাই, সবাই বলছে এটা পূর্বপরিকল্পিত। এটা কি তাই? আসলেই তাই। আমি বহুবার বলেছি, এই সব জাতীয় ঘটনা ঘটানো হয়। কারা ঘটায়? ভারতের ‘র’। যখন আমরা প্রশ্ন করতে শুরু করলাম, প্রধানমন্ত্রী ভারতে গেলেন কী পেলেন? আর কী দিয়ে আসলেন? কোথায় কোথায় স্বাক্ষর করে আসলেন? এই আলোচনাটা যখন উত্তপ্ত হয়েছিল। ঠিক ওই মুহূর্তে আবরার খুন হলো। আবরারকে হত্যা করা হলো। তারপর ভোলার কাহিনী। ভোলার কাহিনী প্রথম না, আগেও এ রকম কাহিনী হয়েছে। এইসব জিনিস ‘র’ এর একটা সেন্টার প্রসিডিউর। অ্যাটেনশন ডাইভার্ট করা। কারণ জনগণ হঠাৎ প্রশ্ন করছে, প্রধানমন্ত্রীকে বিব্রত করছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ‘দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল, আবরার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ভোলার ঘটনার দ্রুতবিচার এবং খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, যে কারণে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙেছিল তার প্রত্যেকটা সংখ্যালঘু নির্যাতন, প্রতিবেশী দেশের ওপর নির্যাতন ভারতের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। ১৯৪৭ সালের পরপরই তারা কাশ্মীর দখল করে। জাতিসংঘের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তারা আজ পর্যন্ত কাশ্মীরে গণভোট করেনি। সংখ্যালঘু মুসলিমদের সামাজিক আচার-আচরণের অধিকার নেই। তারা গরুর মাংস খেতে পারে না।

জাফরুল্লাহ বলেন, ভারত এবং ‘র’ আজকে যেভাবে যাচ্ছে, তাদের কারণে ১৯৪৭ সালের অখণ্ড ভারত হয়তো থাকবে না। সোভিয়েতের মতো অবস্থা হবে।

তিনি বলেন, ভারতের এই অত্যাচারের কথা শেখ মুজিব জানতেন, বঙ্গবন্ধু জানতেন, বুঝেছিলেন। সংবিধানে ২৫(ক) ধারাতে আছে যেকোনো জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণের সংগ্রাম হবে তাকে আমরা সমর্থন দেব। সাহায্য করব। কিন্তু তার কন্যা সংবিধানের সে অংশটা ভুলে গেছেন। এখানে সেই সম্পর্কে আমাদের সেই অংশ উচ্চারিত হয় না।

জাফরুল্লাহ বলেন, উলফার সাথে ট্রেনিং প্রোগ্রামটা আবার শুরু করা প্রয়োজন। কাশ্মীরীদের সমর্থন দেয়া প্রয়োজন। মাওবাদীদের জন্য রেড করিডোর যেটা, পশ্চিমবঙ্গ থেকে কর্ণাটক পর্যন্ত ভারত শাসন করে না তাদেরকে সাহায্য করা প্রয়োজন। তাহলেই ভারত আমাদের পানি দেবে। ভারত আমাদের ন্যায্য আধিকার দেবে, সম্মান করতে শিখবে।

তিনি বলেন, আমাদের যেচে গিয়ে স্বাক্ষর করতে হবে না। আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে এ জাতীয় স্বাক্ষর কেন করতে হচ্ছে? কারণ ভোট নিয়ে আসেন নাই। তাই আত্মসম্মানবোধ নেই। যেখানে যা বলে তাই করেন। আবার মনে করাতে চাই, আমাদের পথ, পথেই থাকতে হবে। এই সংগ্রামে কিছু আত্মত্যাগ করতে হবে। ত্রিশ লাখের দরকার হবে না। কয়েকশ আত্মদান হলে হয়তো আমাদের ভোটের অধিকার ফিরে আসবে। চিন্তা করে দেখবেন সেই সংগ্রাম আমরা করব কিনা। আমরা এখানে কেউ না করলেও কেউ না কেউ করবে, সেটা সময় বলে দেবে।

পূর্ববর্তি সংবাদআজারবাইজানে শেখ হাসিনা-মাহাথিরের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক
পরবর্তি সংবাদদিনভর থাকতে পারে বৃষ্টি