একবছরেই ইসলাম টাইমস শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে

লাবীব আবদুল্লাহ ।।

বর্তমানে মানুষের স্বাভাবিক জীবনধারায় মিডিয়ার প্রভাব অনেক বেশি। বিশ্বায়ন এবং অবাধ তথ্যপ্রবাহের এই যুগে প্রত্যেকেই চায় সর্বশেষ খবরটি তাড়াতাড়ি জানতে। মিডিয়া মানুষকে সেই সার্ভিস দিচ্ছে।

তবে বিশ্বব্যাপীই মিডিয়া নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত বা মতাদর্শ কর্তৃক প্রভাবিত। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের মিডিয়ার উপর নানারকম আগ্রাসন এবং প্রভাব আমরা দেখেছি। ফলে মিডিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়ে একটি সংশয় বা প্রশ্ন থেকেই যায়। বিশেষত ইসলাম ও মুসলসান প্রশ্নে বাংলাদেশের প্রচলিত মূলধারার মিডিয়াগুলোর অবস্থান বরাবরই একপাক্ষিক। ইসলামফোবিয়ার বৈশ্বিক যে সর্বগ্রাসী আগ্রাসন, বাংলাদেশের মূলধারা হিসেবে পরিচিত মিডিয়াগুলো তা দ্বারা অনেকাংশেই প্রভাবিত। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে যেটা নিঃসন্দেহে হতাশাজনক এবং বেদনাদায়ক।

কাগুজে পত্রিকার তুলনায় বর্তমানে অনলাইন কেন্দ্রিক বিকল্প মিডিয়ার উপস্থিতি বেশি। কম খরচে সীমিত আয়োজনের মধ্যেই একটি অনলাইন পোর্টাল খুলতে পারা এর অন্যতম কারণ। কাজের মান ও পেশাদারিত্বে পুরোপুরি উত্তীর্ণ না হলেও মাঝেমাঝেই বিকল্প এসব সংবাদমাধ্যমগুলোতে চমৎকার কিছু কাজ হয়। নানারকম সীমাবদ্ধতা বা সদিচ্ছার অভাবে দেশের মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলো যে কাজ করতে পারে না বিকল্প এসব অনলাইন মিডিয়ায় তার কভারেজ দেওয়া হয়।

বর্তমান বাংলাদেশে ইসলাম বিষয়ক অনলাইন কেন্দ্রিক কিছু সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতি এবং প্রতিষ্ঠার খবর নিঃসন্দেহে আশাজাগানিয়া। তবে ইসলামফোবিয়ার যে সর্বগ্রাসী আগ্রাসন সমাজের সর্বত্রই ছড়িয়ে আছে তার মোকাবেলায় আলেম দায়িত্বশীলদের উদ্যোগে কোনো জাতীয় দৈনিক বা সাপ্তাহিকীর অনুপস্থিতি বরাবরই হতাশাজনক।

অনেক হতাশার মাঝে ইসলাম টাইমস পোর্টালটি কিছুটা আশা জাগিয়েছে। পোর্টালটির প্রকাশক, সম্পাদক এবং সংবাদকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে সবসময়ই দায়িত্বশীল আচরণ করে থাকেন। এ সংবাদমাধ্যমটির প্রকাশক দেশের পরিচিত ইলমি শিক্ষাঙ্গন মারকাযুদ্দাওয়ার পরিচালক। পোর্টালটির সম্পাদক আমাদের শ্রদ্ধেয় ভাই শরীফ মুহাম্মদ। যেকোনো কাজের ক্ষেত্রেই তার কিছুটা অনন্যতা এবং বিশিষ্টতা থাকে। এই দু’জন এবং তাদের সহকর্মীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠার একবছরের মধ্যেই পোর্টালটি একটি শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। অবশ্য সামান্য ক’দিনের যাত্রায়ই তাদের বেশ ঝড়ঝাপ্টা মোকাবেলাও করতে হয়েছে।

ইসলাম টাইমসের সেরা লেখা, সাক্ষাৎকার, ফিচারগুলো নিয়ে পাক্ষিক বা সাপ্তাহিক একটি প্রিন্টেড আয়োজন থাকলে সর্বস্তরের পাঠক বিশেষ করে কওমী ঘরাণার বিশাল পাঠক শ্রেনি ইসলাম টাইমস দ্বারা আরও অধিক উপকৃত ও লাভমান হতে পারবে৷ ইসলাম টাইমস পরিবারের নানা সীমাবদ্ধতার পরও এই উদ্যোগের কামনা করি৷

আমার আশা থাকবে, সামনের দিনগুলোতে ইসলাম টাইমস তাদের দায়িত্বশীল আচরণ অব্যাহত রাখবে এবং অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করার মাধ্যমে কাজের মানকে আরও উন্নত, পরিশিলীত ও গতিশীল করবে।

লেখক: লেখক, পরিচালক- ইবনে খালদুন ইনস্টিটিউট

পূর্ববর্তি সংবাদআদালতে হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বগুড়ায় বিএনপি নেতার ওপর হামলা
পরবর্তি সংবাদপুঁজিবাজারে আবারও ধস