আনাস বিন ইউসুফ ।।
গণমাধ্যম কার্যক্রম বা সাংবাদিকতাকে নিছক পেশা বলার সুযোগ নেই। এটা একটা যুদ্ধ– নিজেরা টিকে থাকার, নিজেদেরকে টিকিয়ে রাখার। বিশ্বব্যাপী পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদ টিকে আছে এই গনমাধ্যমের জোরেই। এমনকি হালের ফ্যাসিস্ট শাসকদেরও অন্যতম বড় অস্ত্র গণমাধ্যম। নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম তাদের জন্য রাজনৈতিক অক্সিজেন সরবরাহ করে।
পশ্চিমা-পুঁজিবাদী আশ্রিত বিশ্বায়নের বিপরীতে কেউ যদি দাঁড়াতে চায়— পৃথিবীকে ভালো কিছু উপহার দিতে চায়, তবে গণমাধ্যম-শাখায় তার সরব পদচারণার বিকল্প নেই। বরং এ যুদ্ধে জয়ী হয়েই তাকে এগোতে হবে।
প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার পর তৃতীয় বিশ্বের কাছে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘অনলাইন গণমাধ্যম।’কাজেই যারা মিডিয়াকে হাতিয়ার বানিয়ে টিকে থাকার লড়াই করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য ‘অনলাইন গণমাধ্যমকেও এড়িয়ে চলার সুযোগ নেই।
উম্মাহকে কিছু দেবার মানসে, নিজেরা টিকে থাকার সংগ্রামে এবং সত্য আদর্শের পতাকা হাতে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে এক বছর আগে “ইসলাম টাইমস”-এর পথচলা শুরু হয়। মাত্র এক বছরে পোর্টালটি তার পাঠকসমাজে আশাতীত সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে। একজন সুদক্ষ ও শক্তিশালী কারিগরের সম্পাদনা ও পরিচালনার সুবাদে ইসলামী ভাবধারার মিডিয়া জগতে আগামীদিনে সাহসী ও শক্তিশালী আগমনের পূর্বাভাস দিচ্ছে এই পোর্টালটি— একথা খুব দৃঢ়তা ও আস্থার সাথেই বলা যায়।
সাংবাদিকদের বলা হয় জাতির বিবেক। তাই সাংবাদিকদের জন্য বিবেককে কাজে লাগানোর প্রথম প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে গণমাধ্যম। মাত্র এক বছরের পথচলায় ‘ইসলামটাইমস তার বিবেকের দায়বদ্ধতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে খুব সফল ভাবেই। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি একটা সুনির্দিষ্ট নীতি ও আদর্শকে সামনে রেখেই প্রতিটি দিন অতিবাহিত করেছে।
ইসলামটাইমস’এর যে বৈশিষ্ট্যটি আমাকে বিশেষভাবে মুগ্ধ করেছে তা হলো- ঘটনাপ্রবাহের সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে যুৎসই শব্দচয়ন এবং সংবাদের ভিতর দিয়ে আদর্শের কথাগুলো যথাসাধ্য পরিপাটি আকারে তুলে ধরা এবং পাঠকমনকে সেই দিকে আকৃষ্ট করা। গণমাধ্যম যোদ্ধাদের জন্য এটা একটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কৌশল।
একটি গণমাধ্যমের সফলতা-ব্যর্থতা নির্ভর করে তাতে নিয়োজিত কর্মীদের দক্ষতা ও দায়বদ্ধতার ওপর। সর্বজনশ্রদ্ধেয় মান্যবর শরীফ মুহাম্মদ সাহেবের পরিচালনায় ‘ইসলাম টাইমস’ একদিন হয়ে উঠবে ইসলামী ভাবধারার মিডিয়া জগতে প্রতিষ্ঠিত, শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত গণমাধ্যম। পোর্টালটির পরিচালনার সাথে জড়িত সকলের জন্য ‘তাওফিকে ইলাহি’কামনা করছি। বিজ্ঞ, সচেতন ও চিন্তাশীল পাঠকসমাজ ‘ইসলাম টাইমস’-এর মূলশক্তি হোক— আগামী দিনের পথচলায়।