গাজায় ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনা

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এক ফিলিস্তিনি নাগরিককে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে ইসরায়েলি পুলিশ। এ হামলায় অন্তত ৬৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে কমপক্ষে ৩২ জনের ওপর সরাসরি গুলি লাগায় হামলায় আরও বেশ কিছু লোকের মৃত্যু হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকালে রাফায় ইহুদিবাদী দখলদার এই রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে আচমকা গুলি বর্ষণ শুরু করে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এবারের হামলায় সাহির ইভাদুল্লাহ নামে ২০ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি তরুণের করুণ মৃত্যু হয়। তাছাড়া আন্দোলনে অন্তত ৬৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে কমপক্ষে ৩২ জনের ওপর সরাসরি গুলি চালানো হয়।

ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তার দাবি, ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রাণ হারানো তরুণের লাশ এরই মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। তাছাড়া সকল হতাহতকে চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের শরীরে গুলি লাগায় হামলায় আরও বেশ কিছু লোকের মৃত্যু হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

নিজেদের জন্মভূমির বেদখল হয়ে যাওয়া ঠেকাতে বিক্ষোভে নামলে ১৯৭৬ সালের ৩০ মার্চ অন্তত ছয় ফিলিস্তিনির ওপর গুলি চালিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা। মূলত এরপর থেকে প্রতিবছর ৩০ মার্চ ফিলিস্তিনিরা দিনটিকে ‘ভূমি দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছেন।

যার ধারাবাহিকতায় চলতি বছর ‘গ্রেট রিটার্ন অব মার্চ’ নামে গত ৩০ মার্চ থেকে পরবর্তী ছয় সপ্তাহ যাবত চলা বিক্ষোভে একেবারে নির্বিচারে গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা। যেখানে শত শত নিরস্ত্র লোকের মৃত্যু হয় বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। মূলত এসবের কারণেই প্রতি শুক্রবার ফিলিস্তিনিরা তাদের বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন।

যেখানে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৭০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের দাবি, ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজা উপত্যকা থেকে ১২ বছরের অবরুদ্ধ অবস্থা তুলে নিতে হবে। কেননা বর্তমানে সেখানকার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দা স্বাধীন চলাচলের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে রয়েছে।

পূর্ববর্তি সংবাদবক্তব্য শেষে ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান দিলেন রাবি উপাচার্য!
পরবর্তি সংবাদক্যাসিনো কেলেঙ্কারি: সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা জারি