কাবুলে তালেবানের হামলা, নিহত ৪ কমান্ডো

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বৃহস্পতিবার ফের আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে তালেবান। এতে নিহত হয়েছেন আফগান স্পেশ্যাল ফোর্সের ৪ সেনা জওয়ান। নিহত চার জনই কমান্ডো। তবে তালেবান দাবি করেছে, তাদের হামলায় ২০০ সৈন্য নিহত হয়েছে।

সরকারি সূত্রে খবর, গাড়িবোমা বিস্ফোরণে এই চার কমান্ডো নিহত হয়েছেন। তালেবানের সঙ্গে আমেরিকার গোপন শান্তি বৈঠক ভণ্ডুল হয়ে যাওয়ার পর থেকেই বহুগুণে সক্রিয় হয়ে উঠেছে তালেবান সদস্যরা। আক্রমণের ঝাঁঝও বাড়িয়েছে। গত কয়েক দিনের মধ্যে শুধু কাবুলেই একাধিক বিস্ফোরণে বেশ কয়েক জন প্রাণ হারিয়েছেন। এমনকি ৯/১১তেও কাবুলে মার্কিন দূতাবাসের বাইরে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তালিবান।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার চাহর আসয়াব ক্যাম্পের সামনে বিস্ফোরক বোঝাই একটি মিনিবাস উড়িয়ে দেয় তালিবান। যার জেরে স্পেশ্যাল ফোর্সের ওই চার জওয়ান নিহত হন। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন আরো ৩ জওয়ান।

তালিবান মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ বিবৃতি দিয়ে এই হামলায় দায় স্বীকার করে। যদিও তার দাবি, আফগান স্পেশ্যাল ফোর্সের কমপক্ষে ২০০ জওয়ান নিহত হয়েছেন। মুজাহিদের দাবি, বোম্বার হামলা চালানোর আগে সেনা ছাউনিতে ঢুকে পড়েছিল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তি আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করার পরেই নতুন করে ক্ষমতা জাহির করা শুরু করেছে তালেবান। ১৮ বছর পর আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা ভেবেছিলেন ট্রাম্প। জানিয়েছিলেন, ধাপে ধাপে সেনা সরানো হবে। সে কারণে তালেবানের সঙ্গে গোপন বৈঠকে বসতেও তিনি রাজি ছিলেন। কিন্তু, সেই আলোচনার প্রক্রিয়া চলাকালীনই তালেবান কয়েকটি হামলা চালায়। যার জেরে দুই মার্কিন সেনা নিহতও হন। তাতেই ব্যাপক খেপে যান ট্রাম্প। এরপরই তিনি তালেবানের সাথে আলোচনা বাতিল করে দেন।

ওয়াশিংটনে মার্কিন সেনাবাহিনীর সচিব রায়ান ম্যাকার্থি বলেন, আমি মনে করি তালিবানের সঙ্গে আলোচনার টেবিল থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত সঠিক। সন্ত্রাসদমনের পাশাপাশি আফগান সেনাকে আরো বেশি করে সহযোগিতার কথা বলেন ম্যাকার্থি।

গত সপ্তাহেই কাবুলে তালিবানি হামলায় ২ মার্কিন সেনাসহ ১২ জন নিহত হন। বাকি ১০ জন সাধারণ নাগরিক।

পূর্ববর্তি সংবাদকাশ্মীর-এনআরসি ইস্যুতে মোদীর সমর্থনে এগিয়ে এলেন মাহমুদ মাদানী
পরবর্তি সংবাদগাজীপুরে মিনিস্টার ফ্রিজ কারখানায় ভয়াবহ আগুন