মুহাম্মদ জাভেদ কায়সার। আল্লাহ তাআলা তার ওপর রহম করুন। তাকে জান্নাত দান করুন। হজ্বের সফরে হজ্ব শেষে হারাম শরীফে অবস্থানরত অবস্থায় আজ তিনি ইন্তেকাল করেন। সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় থাকা এই সৌভাগ্যবান ব্যক্তিত্ব প্রথমদিকে সেকুলার জীবনবাবনা তুলে ধরতেন। বেশ কিছুদিন ধরে তার মনোজগতে দ্বীন ও ঈমানের আলোকায়ন ঘটে। এরপর জীবনের উজ্জ্বল প্রত্যাবর্তনের পাশাপাশি ফেসবুকেও তিনি ঈমানদীপ্ত বহু পোস্ট করেন।
তার ইন্তেকালের খবরে সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় দ্বীনপ্রাণ মানুষেরা তার প্রতি ভালোবাসা ও তার জন্য দোয়া ও শোক প্রকাশ করছেন। তার হৃদয় জাগানো পোস্টগুলিও কেউ কেউ শেয়ার করছেন। জনাব #তৌফিকরূপক-এর শেয়ার করা একটি ছোট্ট পোস্ট এখানে তুলে ধরা হলো।
আপনার আশেপাশে একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন। প্রায় নিশ্চিত করেই একটি দোকান খুঁজে পাবেন ইন-শা-আল্লাহ। “সাঁঝ বেলা ষ্টোর”, “বিদায় বেলা ষ্টোর”, “শেষ যাত্রা”, “আখিরাতের সদাই” টাইপের নাম হবে দোকানটির।
.
দিন-রাত ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে এই দোকান। কাফনের কাপড়, আতর, লোবান, কর্পূর, খাটিয়া, কাফনের বাক্স, কম দামী চা-পাতা, পলিথিন, কসকো মিনি সাবান, গামছা ইত্যাদি কিনতে পাওয়া যাবে দোকানটিতে।
.
পূর্ণ এক দিন অবসর নিন দৈনন্দিন কাজ বা পড়ালেখা থেকে। সকাল সকাল দোকানটির সামনে বসবেন। উঠবেন একদম রাত ১২ টার দিকে। যত্ন করে লক্ষ্য করুন “সদাইপাতি” কিনতে আসা মানুষগুলোকে। মনে চাইলে মাইয়্যাতের বয়স, ধনসম্পদ, মৃত্যুর কারণও জানতে চাইতে পারেন তাঁদের কাছে। প্রয়োজন মনে করলে এক টুকরো কাগজে লিখেও নিতে পারেন তথ্যগুলো।
.
ভাগ্য নিতান্ত ভালো হলে দোকানটির সাথে লাগোয়া একটি মাসজিদও পাবেন। সেখানে সালাত আদায় করুন সময় মতো। হয়তো কোন মাইয়্যাতের জানা’যাতে শরীক হওয়ার তাওফীকও জুটে যেতে পারে।
.
দিনের সবশেষে জানা’যা পড়ানো মাইয়্যাতের স্বজনদের সাথে শরীক হয়ে যান। কেউ মানা করবে না। কেউ জিজ্ঞেস করবে না কিছু। কবরস্থানে দাফনেও শরীক হন। দাফন শেষ হওয়ার পরে বাড়ী ফিরে আসুন।
.
বাড়ী ফিরে এসে বিছানায় শুয়ে চোখ বন্ধ করে সারাদিনের কথা বলা মানুষদের কথা একটু ভাবুন। কাগজে কিংবা মগজে টুকে রাখা তথ্যগুলোর সাথে মিলিয়ে নিন। তারপর ঘুমিয়ে পড়ুন।
.
ভাইয়েরা, এই একটি কাজ করে দেখতে পারি আমরা।
.
আমাদের মধ্যে যাঁদের দুনিয়াবী ভালোবাসা প্রকট, অতিরিক্ত সহায়-সম্পত্তি প্রীতি ক্রমাগত বেড়েই চলছে যাঁদের, তাঁদের জন্য বড় উপকার হবে কাজটিতে ইনশাআল্লাহ।
.
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
নিশ্চয়ই আমরা সবাই মহান আল্লাহ তা’আলার জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো।