কোনো অবস্থাতেই স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরি মুসলমানকে জঙ্গি বা সন্ত্রাসী বলা যাবে না: বাবুনগরী

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: কোনো অবস্থাতেই স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরি মুসলমানদের জঙ্গি বা সন্ত্রাসী বলা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাবুনগরী বলেন, কোনো অবস্থায় কাশ্মীরের মুসলমানদের জঙ্গি বা সন্ত্রাসী বলা যাবে না। স্বাধীনতাকামী কোনো মজলুম জাতি যদি স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে, সেটি জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদ হয় না।

উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৫৬ সালের ১ জানুয়ারি সুদান ও ১৯৯৯ সালের আগস্ট মাসে পূর্ব তিমুরের জনগণ একটি গণভোটের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহকর্মীরা যুদ্ধ করে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন।

হেফাজত মহাসচিব আরও বলেন, যদি স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা জঙ্গি হয়, তা হলে আমাদের বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারাও জঙ্গি হয়ে যাবে। অথচ তারা আমাদের প্রাণপ্রিয় মুক্তিকামী মহাপুরুষ, তারা কোনো অবস্থায় জঙ্গি বা সন্ত্রাসী হতে পারে না।

হজরত মুহম্মদ (সা.)-এর একটি হাদিসের সূত্র ধরে তিনি বলেন, ওই হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- সমগ্র বিশ্ব মুসলিম এক দেহের বিভিন্ন অঙ্গের মতো। চোখে ব্যথা হলে পুরো শরীরে ব্যথা অনুভব হয়। মাথায় আঘাত হলে পুরো শরীর জর্জরিত হয়।

‘সুতরাং এই সহি হাদিসের ভিত্তিতে কাশ্মীরের মজলুম স্বাধীনতাকামী মুসলমানদের জালিম মোদি সরকারের অমানবিক জুলুম, নির্যাতন থেকে রক্ষা করার জন্য এবং কাশ্মীরের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য বিশ্বের সব মুসলমান, বিশেষত আরব বিশ্বকে শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’

বাবুনগরী বলেন, জালিম মোদি সরকার কাশ্মীরের হাজার হাজার মুসলমানকে হত্যা করছে এবং তাদের জানমাল, ইজ্জত-আব্রু লুণ্ঠন করছে।

তিনি আরও বলেন, কাশ্মীরের একেক বালিকণা ফরিয়াদ করছে আরব বিশ্বের কাছে, যেন আরব বিশ্বের নেতৃত্বে সব মুসলিম দেশ এই অমানবিক আচরণ এবং নিষ্পেষণ ও নির্যাতন থেকে তাদের রক্ষা করে। এবং কাশ্মীরের মাটিতে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করে।

পূর্ববর্তি সংবাদপাটের পর এবার চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করা হচ্ছে: ফখরুল ইসলাম আলমগীর
পরবর্তি সংবাদআসাতিযায়ে কেরামের  প্রতি কিছু মূল্যবান হেদায়াত