ভিপি নুরের দাবি, এমপির নির্দেশে তার ওপর হামলা করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর দাবি করেছেন, স্থানীয় এমপির নির্দেশে উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে  তার ওপর হামলা করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

নুর মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগ এই হামলা চালায়। হামলাকারীরা রড ও লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাকেসহ অন্তত ২০ থেকে ২৫ জনকে গুরুতর আহত করে। হামলাকারীরা এ সময় ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং চারটি মুঠোফোন, দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরা ও ৮৯ হাজার টাকা লুটে নেয়।

স্থানীয় সাংসদ এস. এম শাহজাদার নির্দেশে গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যান মু. শাহীনের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন নুরুল হক নুর।

গতকাল বুধবার দুপুরে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া বাজারে হামলার ঘটনায় ভিপি নুর ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের বেশ কয়েকজন নেতা আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে আহত নুরকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। চিকিৎসা শেষে তিনি এখন গলাচিপা উপজেলার চর বিশ্বাস ইউনিয়নে তার নিজের বাড়িতে অবস্থান করছেন। আজ উন্নত চিকিৎসার জন্য নুরুল হক নুরের ঢাকায় যাওয়ার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি।

নুরুল হক নুর দাবি করেন, হামলার ঘটনার পর তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত জমাট বেঁধেছে। মাথায় ও বুকে আঘাত করায় এখন সেখানে ব্যথা হচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলেছেন মাথায় সিটি স্ক্যান করাতে। কিন্তু তিনি চিকিৎসা করাতে পারেননি। বরিশাল গিয়ে চিকিৎসা করাবেন তাও নিরাপদ মনে করছেন না। আবহাওয়া ভালো হলে শুক্রবার তিনি ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নেবেন।

হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গলাচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গলাচিপা চেয়ারম্যান মু শাহীন বলেন, ‘অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। ঈদের দাওয়াত খেতে গিয়ে দশমিনায় স্থানীয় সাংসদের বাড়িতে বসে এই হামলার খবর শুনি। এ ঘটনার সঙ্গে আমি কিংবা আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত নেই।’

জানতে চাইলে সাংসদ এস. এম শাহজাদা মুঠোফোনে বলেন, ‘আসলে বিষয়টি আমি জানিই না। কারণ, ওই দিন আমার বাড়িতে ঈদের অনুষ্ঠান চলছিল। আমি অতিথিদের আপ্যায়ন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। সব মিথ্যা অভিযোগ।’

প্রসঙ্গত, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিপি নুর ৮ আগস্ট গলাচিপায় নিজের বাড়িতে যান। গতকাল দুপুরে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ উল্লাহ মধুর বাড়িতে দাওয়াত ছিল তার। সফরসঙ্গীদের নিয়ে মোটরসাইকেলে করে দশমিনার উদ্দেশে রওনা দেন তারা। দুপুর ১টার দিকে উলানিয়া বাজারে হামলার শিকার হন ।

পূর্ববর্তি সংবাদএক দিনেই সড়ক পথে ২৪ জন নিহত
পরবর্তি সংবাদপাক-ভারত সীমান্তে গোলাগুলি, ৫ ভারতীয় ও ৩ পাকিস্তানী সেনা নিহত