৩১ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে কমদামে বিক্রি হচ্ছে পশুর চামড়া

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: গত বছরও যে চামড়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় কিনেছিলেন, এ বছর সেই চামড়া কিনছেন ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ৩১ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে কমদামে বিক্রি হচ্ছে পশুর চামড়া। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৮০ হাজার টাকার গরুর চামড়ার দাম দিচ্ছেন ২০০ টাকারও কম। এক লাখ টাকার গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা।

সরকার নির্ধারিত দামে ভাল মানের ছোট একটি গরুর চামড়ায় দাম কমেছে এক থেকে দেড়শ টাকা। মাঝারি মানের গরুর চামড়ার দাম কমেছে অর্ধেক। একইভাবে প্রতিটি বড় গরুর চামড়া ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কমে কিনছেন। ছাগল কিংবা ভেড়ার চামড়ার দাম একেবারেই কম।

সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুর থেকে রাজধানীর হাজারীবাগ, মতিঝিল, সায়েন্স ল্যাব, পোস্তা এলাকায় ছোট গরু অর্থাৎ ৬০ হাজার টাকার নিচের দামের গরুর চামড়া ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় কিনছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

মাঝারি গরু অর্থাৎ লাখ টাকার নিচের গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। গত বছর একই চামড়া বিক্রি হয়েছে ৮০০ থেকে এক হাজার টাকায়। সরকার নির্ধারিত দামে এসব চামড়া বিক্রি হওয়রা কথা ছিল অন্তত হাজার টাকা।

এদিন এসব এলাকায় এক থেকে পাঁচ লাখ টাকার গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। এছাড়াও পাঁচ লাখের উপরে গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ টাকার উপরে।

সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া দাম অনুযায়ী, ঢাকায় কোরবানির গরুর প্রতিটি ২০ থেকে ৩৫ বর্গফুট চামড়া লবণ দেওয়ার পরে ৯০০ থেকে এক হাজার ৭৫০ টাকায় কেনার কথা ট্যানারি মালিকদের। কিন্তু সোমবার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় চামড়া কিনেছেন। কোথাও কোথাও আরও কম।

রাজধানীর বাইরে সবচেয়ে ভালো মানের কাঁচা চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। আর মাঝারি মানের চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। যা গত বছরও ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

এ বছর পোস্তার ব্যবসায়ীদের সাত লাখ পিস গরুর চামড়া কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তার মধ্যে ৯০ ভাগ চামড়া এখন কেনার কথা। কিন্তু তারপরও চামড়া কিনছেন না পোস্তার আড়তধাররা।

বাংলাশে ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, ‘লবণযুক্ত চামড়া কিনব। যারা লবণ দেবে না, আমরা তাদের চামড়া কিনব না।’

তিনি বলেন, ‘মৌসুমি ব্যবসায়ীরা যেন চিন্তাভাবনা করে এবার চামড়া কেনেন। কারণ, আমরা মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সরাসরি চামড়া সংগ্রহ করছি না।’

পূর্ববর্তি সংবাদকাশ্মীরের প্রাচীন ঈদগাহে ঈদ জামাতের অনুমতি দেয়নি ভারতের প্রশাসন
পরবর্তি সংবাদতাবু নগরী মিনায় আজ সন্ধ্যায় প্রচুর বৃষ্টিপাত