পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাতে ৩০ জনের মৃত্যু

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বর্ষণে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। রবিবার (১২ আগস্ট) ইসলামাবাদ থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়, ব্যাপক বৃষ্টিপাতের ফলে দেশের বিভিন্ন অংশে এরই মধ্যে বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে।

তাছাড়া করাচিতে লাগাতার বর্ষণের ফলে কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে কসবা কলোনিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৭ জন এবং ভাট্টা গ্রামে বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়।

কর্তৃপক্ষের দাবি, এবারের বন্যায় শহরের বিভিন্ন এলাকা জলের নিচে ডুবে গেছে। তাছাড়া ভেঙেছে একাধিক সড়কও। আকস্মিক এই ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে করাচির প্রায় অর্ধেকের বেশি এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।

এ দিকে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর (পিএমডি) থেকে করাচিতে গত এক দিনে প্রায় ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে বলে জানানো হয়। তাছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার স্থানীয় গণমাধ্যমের দাবি, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য আনা অন্তত ৭টি গবাদিপশু এরই মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। এ সবের প্রেক্ষিতে করাচিতে অবিলম্বে একটি জরুরি অবস্থা ঘোষণার দাবি জানিয়েছে শহরটির বাসিন্দারা।

অপর দিকে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বৃষ্টিতে অন্তত ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এতে আহত হয়েছেন নারী ও শিশুসহ আরও কমপক্ষে ২২ জনের বেশি লোক। চলমান বন্যা, ভূমিধস এবং অতিবর্ষণজনিত দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটছে বলে দাবি করেছে প্রদেশের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা পর্ষদ (পিডিএমএ)।

বিশ্লেষকদের মতে, পাহাড়ি এলাকায় ধস হামেশাই বিপদ বয়ে আনে। গত মাসেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নীলম উপত্যকায় সৃষ্ট বৃষ্টি ও বন্যায় অন্তত ২৮ জনের বেশি লোকের মৃত্যু হয়। নদীর জল বাড়তে থাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিন্ধে বন্যার হতে পারে বলে অনেক আগেই সতর্ক বার্তা পাঠানো হয়েছে। সূত্র: দ্য ডন।

পূর্ববর্তি সংবাদঈদুল আজহার দিনেও অবরুদ্ধ কাশ্মীরে বিক্ষোভ
পরবর্তি সংবাদকোরবানি দিতে ছুরি হাতে বিভিন্ন এলাকায় মাদ্রাসা ছাত্ররা