পাটুরিয়া ফেরিঘাটে প্রাইভেট কারের দীর্ঘ সারি, ভোগান্তিতে ঘরমুখো মানুষ

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: ঈদুল আজহার মাত্র দুই দিন বাকি। এরই মধ্যে ঘরমুখো মানুষদের ঢল নেমেছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। ফেরিজুড়ে বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির (প্রাইভেট কার) সংখ্যা। নৌ রুট পারাপারের জন্য তিন থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে এসব গাড়িগুলোকে। ফলে ফেরিঘাট এলাকায় দেখা দিয়েছে দীর্ঘ লাইন।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকাল পর্যন্ত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ রুট এলাকায় পারাপারের উদ্দেশ্যে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় প্রায় দুই হাজার যানবাহন অপেক্ষামাণ রয়েছে বলে ফেরিঘাট সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

পাটুরিয়া ফেরিঘাট পরিদর্শনে দেখা যায়, ঘাটের ৫ নম্বর ফেরিঘাট পন্টুন থেকে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের সারি প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ হয়েছে। ফলে দীর্ঘ সময় অপেক্ষমান থাকায় সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন চালকসহ ঘরমুখো মানুষেরা।

এদিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের টেপড়া বাসস্টান্ড থেকে বাম দিকের আঞ্চলিক রাস্তা হয়ে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ৫ নম্বর ঘাট পন্টুন এলাকায় পৃথক লেনে আসার ব্যবস্থা করেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ছোট গাড়ির চাপ বেশি থাকায় ৫ নম্বর ঘাট পন্টুনসহ অন্যান্য পন্টুন দিয়েও পারাপার করা হচ্ছে ছোট গাড়ি।

মাগুরামুখী একটি প্রাইভেট কারের যাত্রী হুমায়ুন আহমেদ জানান, ঈদে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে সকাল ৭টায় মতিঝিল থেকে রওনা হয়ে বেলা ১১টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে এসে ছোট গাড়ির লাইনে পৌঁছায় তাদের গাড়ি। দুপুর ২টা পর্যন্ত ঘাটের ৫ নম্বর পন্টুনের কাছাকাছি আসেন তারা। তবে ফেরির দেখা পেতে আরও প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় লাগবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অপরদিকে যশোরগামী একটি ছোট গাড়ির চালক আকবর আলী বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দীর্ঘ যানজট পেরিয়ে তিনি পাটুরিয়া ফেরিঘাটে পারাপারের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছেন। সব মিলিয়ে এবারের ঈদযাত্রায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন হোসেন জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ রুটে ছোট-বড় সবমিলিয়ে ২০টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে চলাচল করছে। তবে অসংখ্য ছোট গাড়ির চাপ থাকায় ফেরিঘাট এলাকায় ভোগান্তি হচ্ছে।

পূর্ববর্তি সংবাদ‘ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে’
পরবর্তি সংবাদখালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে সরকার পতনের আন্দোলন ছাড়া বিকল্প পথ নেই: গয়েশ্বর