দুই মেয়রের দুই কথা: একজন দোয়া চাইলেন, আরেকজন বললেন, অভিজ্ঞতার অভাব আছে

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা সিটির দুই মেয়র বললেন দুই কথা। একজন দোয়া চেয়েছেন সবার কাছে। আরেকজন বললেন, তার সততার কোনো অভাব নেই, তবে অভিজ্ঞতার অভাব আছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মলেক বৈঠক করেন। এতে ঢাকার দুই মেয়র, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সদস্য ডা. মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমও) মহাসচিব ইকবাল আরসালান, সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাঈদ খোকন ও আতিকুল ইসলাম ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বিশেষ এক বৈঠকে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকার দুই মেয়র। পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করছে দাবি করে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। আর উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় তার সততার কোনও অভাব নেই। তবে অভিজ্ঞতার অভাব আছে।

সাঈদ খোকন বলেছেন, ‘পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে জটিল হচ্ছে। সামাল দিতে আমরা সমন্বিতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে।’

রাজধানীর ১১টি ওয়ার্ড এখন ডেঙ্গুমুক্ত দাবি করে তিনি বলেন, ‘হাজারও দুঃসংবাদের মধ্যে সুসংবাদও আছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটির নতুন ওয়ার্ডগুলো বাদ দিয়ে পুরনো ৫৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টি ওয়ার্ড পুরোপুরি ডেঙ্গুমুক্ত।’ তবে মেয়র ১০টি ওয়ার্ডের হিসাব দেন। এগুলো হলো−১৪, ১৮, ২২, ২৩, ২৬, ৩৫, ৪২, ৫৩, ৫৫, ৫৬। তিনি জানান, গত ১৭ থেকে ২৭ জুলাই কয়েকটি সংস্থা জরিপ করে এই ফলাফল জানিয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডেঙ্গু যে কোনও সিজনাল রোগ নয়, তা প্রমাণিত হয়েছে। কাজেই ৩৬৫ দিনই এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করতে হবে। সে কারণে আমি ডেঙ্গু রিসার্চ সেন্টার করার কথা বলছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগে যে কেউ চাইলেই মশা মারার ওষুধ আমদানি করতে পারতো না। এখন যার খুশি সেই মারার ওষুধ আনতে পারবে। একটি চালানের ওষুধ ত্রুটিযুক্ত হওয়ার চালান বাতিল করেছি এবং সেই কোম্পানিকে ব্ল্যাকলিস্টেড করেছি। পরবর্তী চালানের ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। এই রোগ নিয়ন্ত্রণে চ্যালেঞ্জ আছে। মশা মারাই একমাত্র সমাধান নয়। এর জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি এই তিন ধরনের পরিকল্পনা নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি অনুরোধ করছি, ভর্তি হওয়া একটি রোগীও যেন মশারির বাইরে না থাকে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ১৪ হাজার মশারি বিতরণ করেছি। আরও ১৬ হাজার রেডি আছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত একটি রোগীর মৃত্যুও কাম্য নয়।

আতিক বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, ভুল তো হতেই পারে। শিখতে গেলে ভুল হবে, তবে এক সময় তো ঠিক হবে। আমার সততার কোনও অভাব নেই। তবে অভিজ্ঞতার অভাব আছে।’

পূর্ববর্তি সংবাদপশ্চিম তীরে ইহুদিদের জন্য ৬ হাজার বাড়ি নির্মাণ করছে ইসরায়েল
পরবর্তি সংবাদসচিব দিলেন বাধা, বিদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন করায় মন্ত্রী দিলেন সাংবাদিকদের ধমক