ভারতের ঝাড়খণ্ডে গলা কেটে চার জনকে হত্যা

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: কখনও গো-রক্ষার নামে, কখনও চুরির অপবাদে ভারতে গণপিটুনির ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিহারে তিন জনকে পিটিয়ে মারার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। এবার ঝাড়খণ্ডে ডাইনি অপবাদে এক দম্পতি-সহ চারজন আদিবাসীকে পিটিয়ে, গলা কেটে খুন করল গ্রামবাসীরা। নিহতদের মধ্যে দু’জন পুরুষ ও দু’জন মহিলা।

ভারতের ঝাড়খণ্ডে গুমলার সিয়াসি থানা এলাকায় শনিবার ভোর রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

জেলা পুলিশ জানিয়েছে, সরেজমিন খতিয়ে দেখা হচ্ছে পরিস্থিতি। বাঁশ-লাঠি-লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটানো এবং তার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করা হয়েছে চার জনকে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার ভোর সাড়ে তিনটে থেকে চারটের মধ্যে ১০-১২ জন গ্রামবাসী ওই দম্পতির বাড়িতে চড়াও হয়। তারা প্রথমে ওই দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে একটি ঘরে নিয়ে যায়। সেই ঘরে কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ে যাওয়া হয় ভগত এবং ফাগনি দেবীকে। ডাইনি অপবাদে শুরু হয় বাঁশ-লাঠি দিয়ে বেধড়ক মার। সঙ্গে চলতে থাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ। এক পর্যায়ে সবাইকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করে পালিয়ে যায় আক্রমণকারীরা।

গুমলার পুলিশ সুপার অঞ্জনীকুমার ঝা বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ডাইনি অপবাদেই চার জনকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। অন্ধ বিশ্বাসের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত চলছে।’ পুলিশ-প্রশাসনের কর্মকর্তারা গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেও এখনও আতঙ্কে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। বিশেষ করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি।

পূর্ববর্তি সংবাদএবার ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন হিন্দু আইনজীবী
পরবর্তি সংবাদপ্রিয়া সাহার মিথ্যা নালিশ সংখ্যালঘু নাগরিকদেরই বেশি ক্ষতি করেছে: মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ