অমিত শাহ বললেন, ‘বাংলাদেশি জঙ্গিরা’ পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসাগুলোকে ব্যবহার করছে

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় এবার পশ্চিমবঙ্গের মাদরাসা নিয়ে উগ্র মন্তব্য ছুঁড়ে দিলেন বিজেপি প্রধান ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি জঙ্গিরা’ পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসাগুলোকে তরুণ-তরুণীদের মগজধোলাইয়ের কাজে ব্যবহার করছে।গতকাল মঙ্গলবার ভারতের পার্লামেন্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

অমিত শাহের দাবি, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে একাধিক ‘জঙ্গিশিবির’ পরিচালনা করছে বাংলাদেশের জেএমবি। সেই শিবিরে নিয়মিত যাতায়াত করে লস্কর-ই-তৈয়াবার ‘জঙ্গিরা’। শুধু আত্মগোপনের জন্যই নয়, সংগঠনে জনবলও নিয়োগ করছে তারা। আর এসব করা হচ্ছে মসজিদ-মাদ্রাসাগুলো থেকে। মূলত নদীয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলার মাদ্রাসাগুলোকে নিশানা করা হয়েছে। আসামের মুসলিম অধ্যুষিত জেলাগুলোতেও চলছে একই কায়দায় জঙ্গি রিক্রুটমেন্ট।

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহের এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি-র কাছে। উত্তরে তিনি বলেন, ওই বক্তব্য আমি দেখিনি। এটা দেখে মন্তব্য করতে হবে। তবে একজন মাদ্রাসা শিক্ষককে জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিতে বলপ্রয়োগ করাটাও ঠিক কাজ নয়।

বাংলাদেশ নিয়ে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের মন্তব্য অবশ্য এটাই প্রথম নয়। ভারতের গত সাধারণ নির্বাচনের প্রচারণায় যে রাজনীতিক সবচেয়ে চড়া গলায় বাংলাদেশ প্রশ্নে আক্রমণ শানিয়েছেন, তিনি অমিত শাহ। বিভিন্ন জনসভায় তিনি হুমকি দিয়েছেন, ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের খুঁজে বের করে দেশ থেকে তাড়ানো হবে। কোনও কূটনৈতিক সৌজন্যবোধ না রেখে সরাসরি বলেছেন, অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলতে তিনি বাংলাদেশিদেরই বুঝিয়েছেন।

এই কথিত অনুপ্রবেশকারীদের তিনি কী চোখে দেখেন সেটা পরিষ্কার হয় গত এপ্রিলে পশ্চিমবঙ্গের এক সমাবেশে দেওয়া তার বক্তব্যে। ওই সমাবেশে তিনি বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা বাংলার মাটিতে উঁইপোকার মতো। বিজেপি সরকার তাদের এক এক করে তুলে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলবে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, টাইমস নাউ।

পূর্ববর্তি সংবাদপ্রবল বন্যায় ভারতে ২৮ জনের মৃত্যু
পরবর্তি সংবাদনারী উত্তরসূরী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন দালাই লামা