এনাম হাসান জুনাইদ।।
মিশরের একমাত্র গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসি ইন্তেকাল করেছেন। কারাগারে তাকে ঔষধ সরবরাহ করা হতো না এবং ডাক্তার ও আত্মীয়দের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হতো না বলে অভিযোগ রয়েছে।
যাই হোক তার মৃত্যুকে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় দেশগুলো দেখেও না দেখার ভান করেছে। এতে পশ্চিমাদের গণতন্ত্র প্রেমের স্বরূপ উম্মোচিত হয়ে গেছে।
পশ্চিমা দেশগুলো এমন ভাব দেখাচ্ছে, যেন তারা কিছু জানে না। যেন কিছুই ঘটেনি।
কারগারে পর্যাপ্ত চিকিৎসা ও যত্নের অভাবে মুরসির মৃত্যুর কারণে মিশরের মানবাধিকার সংগঠনগুলো মিশর সরকারের উপরে চাপ বাড়াবে। কারণ এখনও হাজার হাজার মানুষ মিসরে বন্দি অবস্থায় রয়েছে।
কিন্তু মুরসির মৃত্যুতে এখনও পর্যন্ত ইউরোপীয় দেশগুলো তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। শুধু জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজেরিক সমবেদনা জানিয়েছেন মুরসির আত্মীয় এবং সমর্থকদের প্রতি।
এদিকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি গত এপ্রিলে মিসরের বর্তমান স্বৈরশাসক আবদেল ফাত্তাহ সিসিকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং তার প্রশংসা করে বলেছেন, তিনি একজন গ্রেট পারসন, মুরসির মৃত্যুতে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়াই জানাননি।
মৃত্যুর বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে আমেরিকার মুখপাত্র মরগান ওরটাগুস বলেছেন, সংস্থাটি তার মৃত্যুর খবর পেয়েছে।
স্পেনের একটি জাতীয় পত্রিকা পশ্চিমা বিশ্বের এই নির্মম পক্ষপাতমূলক আচরণের সমালোচনা করেছেন।
পত্রিকাটির এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, মুরসি ছিলেন মিসরের গণতন্ত্রের একটি মসৃণ পথ। দেশবাসীর কাছে মুরসির অবস্থান ছিল রাজনীতির অনেক উর্ধ্বে।
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড