ঈদের দিনের কথা

সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নাদভী ।।

গতকাল ছিল ঈদের দিন। সূর্যাস্তের পর পর শিশু-কিশোর সবাই বের হলো চাঁদ দেখতে। কেউ উঠল বাড়ির বাড়ির ছাদে কেউ মিনারে। চাঁদ উঠেছে চাঁদ উঠেছে বলে সবাই আনন্দ করতে লাগল। তারপর বাড়ীর দিকে ছুটে গেল। আব্বু আম্মুকে এবং অন্যদেরকে সালাম দিলো। তারা তাদের জন্য বরকতের দোয়া করলেন।

ঈদের রাতে শিশুরা অল্পই ঘুমায়। আবার সকাল সকালে উঠে যায়। তারা ঈদের জামা টুপি জুতা বারবার দেখে। ঈদের দিন সবাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠল। ফজরের নামাজ পড়েই গোসল করলো। অনেকেই নতুন জামা টুপি পরিধান করল। মা সন্তানদের দেখে খুশি হলেন। বাবা ও অন্যান্য আত্মীয়রা ঈদের উপহার দিলেন।

সাঈদের বাড়িতে এক মহিলা কাজ করত। তার এতিম ছেলে আছে। তার নতুন জামা জুতা এবং পরিচ্ছন্ন টুপি ছিল না। সেও গোসল করলো। সে পরল তার ছেড়া জামা ও পুরাতন জুতা। সে অন্যান্য ধনী ছেলেদেরকে ঈর্ষান্বিত হয়ে দেখছিল। ছেলেটির মা তার পিতার কথা মনে করে অনেক দুঃখিত হল। সাইদ নিজের উপর লজ্জিত হল। তাড়াতাড়ি আলমারির কাছে গেল। সে তার পরিচ্ছন্ন জামা নিয়ে এতিম ছেলেটিকে দিলো। ছেলেটি জামা পরিবর্তন করল এবং খুব খুশি হলো। এতিম বালকটির মা খুশি হয়ে সাঈদ এর জন্য বরকতের দোয়া করল।

যখন সূর্য মাথার উপরে উঠল সবাই ঈদগাহের দিকে বের হলো। ওই দৃশ্য কত না সুন্দর যখন সবাই বলে الله اكبر الله اكبر لا اله الا الله اكبر الله و لله الحمد ইমাম সাহেব নামাজ পড়িয়ে খোতবা শেষ করলেন। এরপর সবাই অন্য পথে ফিরছিল। কেউ বন্ধুদের মেহমানদারী করেছিল। প্রায় সবাই বন্ধুদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলছিল, ঈদ মোবারক , সারা বছর ভালো থাকুন । ঈদের সকালটা ছিল খুবই সুন্দর। আসরের পর রমযানের ইফতারের কথা, রাতে তারাবির নামাজের কথা মনে করে কেমন শূন্যতা অনুভব হল। সালাফের কেউ কেউ বলেছেন ঈদ তো কিছু সময় আর পুরো রমযান তো ঈদ।

আল কিরাআতুর রাশিদা থেকে জান্নাত আখতার অনূদিত

পূর্ববর্তি সংবাদঈদের সকালেই ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬
পরবর্তি সংবাদঈদ শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনুপম শিক্ষা দেয় : প্রধানমন্ত্রী