‘জিয়ার রাজনীতিতে গাড়ি-বাড়ি ও বিত্তশালী হওয়ার কোনো অনুপ্রেরণা ছিল না’

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: আমাদের পাঁচ সাংসদদের শপথ নেওয়ার পেছনে সরকারের যতটা না চাপ ছিল, তার চেয়ে বেশি ছিল তাদের লোভ। আমরা জিয়াউর রহমানকে অনুসরণ করি না। তাকে অনুসরণ করলে আমাদের ভাগ্যের চাকা ঘোরতো না। আমরা গাড়ি-বাড়ির মালিক হতে পারতাম না। কারণ, তার রাজনৈতিক জীবনে গাড়ি-বাড়ি ও বিত্তশালী হওয়ার কোনো অনুপ্রেরণা ছিল না। ওনার রাজনীতি ছিল দেশপ্রেম ও দেশের মানুষকে জাগিয়ে তোলা।

আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৮ তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল সংসদে যাব না। কিন্তু সংসদে গেলাম। এখানেই তো বুঝতে হবে, আমাদের প্রতিশ্রুতির অভাব আছে। আমরা অবাধ্যকে বাধ্য করতে পারি না। কারণ, ওই পাঁচজনের দলের প্রতি, রাজনীতির প্রতি অঙ্গীকার নেই। এই পাঁচজন অবাধ্যকে যদি আমরা বাধ্য করতে পারতাম, তাহলে আজকে আমাদের দুঃখ থাকত না।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এই বিষয়গুলো আপনাদের বুঝতে হবে। এখন এই পাঁচজন যদি দল ছেড়ে চলে যেতো! তাঁরা যেতই। সেই কারণে আপনাকে প্রেক্ষাপটটা বুঝতে হবে। এঁদের লোভ আছে, এঁদের ওপর চাপ আছে। তবে চাপের চেয়ে লোভ বেশি। এঁরা একটা দিনের জন্য বলেছে যে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে সংসদে যাব না? এই পাঁচজনের কেউ বলেছেন? এক দিন? কেউ বলছেন? বলেন নাই। তাহলে তাঁদের সংসদে যাওয়াটা জরুরি। বেগম জিয়ার মুক্তিটা কিন্তু জরুরি না।’

বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা বেশি কাজে ফাঁকি দিই। আমরা কমিটি করি। কিন্তু কেউ সংগঠন করি না। একটি কমিটি মানেই সংগঠন না। আর নেতৃত্বের যেখানে দুর্বলতা হয়, সেখানে বহুজনের কমিটি হয়। কমিটিতে যখন যুগ্ম আহ্বায়কের সংখ্যা বেশি, সদস্যসচিব থাকে, তখনই বুঝতে হবে, কেউ কাউকে মানে না। তার মানে অঙ্গীকারের অভাব। সংগঠনের চেয়ে নিজেকে সবাই বড় মাপের দেখতে চায়।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, যাঁরা উপদেশ দেন, তাঁরা নিজের বেলায় সেটা কতটুকু বাস্তবায়ন করেন, তা একটু ভেবে দেখবেন। আর দলের উপদেষ্টা-সম্পাদক বেশি, কর্ম-সম্পাদকটা একটু কম। বলা হয়, ঘরে বসে মিটিং করব না। কিন্তু ঘরেই ডাকা হয়। আর আজকে ঘরে না ডেকে যদি বাইরে ডাকা হতো, তাহলে খুব বেশি ভালো লাগত।

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন, সেলিম ভূঁইয়া ও ২০-দলীয় জোট নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

পূর্ববর্তি সংবাদট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে ক্ষমা চাইলেন রেলমন্ত্রী
পরবর্তি সংবাদজোরদার গবেষণা ও উন্নয়ন সক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্র থেকে এখন প্রাচ্যের হাতে : মাহাথির মুহাম্মদ