বুযুর্গদের ইতিকাফ: ময়মনসিংহের তিনটি মজলিসে বহু মানুষ উপকৃত হন

ইসলাম টাইমস প্রতিবেদন: ইবাদতের সুবর্ণ সময় পবিত্র রমজান মাস। সচেতন আল্লাহর বান্দারা এ মাসটিকে অবহেলায় কাটাবেন, ভাবা যায় না। এ মাসেরই অনির্ধারিত তারিখে রয়েছে এমন একটি রাত যা হাজার মাসের রজনী থেকেও উত্তম। এ মহিমাময়ী রজনীর সন্ধানে মসজিদে মসজিদে ইতেকাফে বসেন আল্লাহর প্রিয় বান্দাগণ। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বরেণ্য আলেমদের মাসব্যাপী ইতিকাফে জমায়েত হন মুসল্লিরা।

আজকে আমরা পৃথক তিনটি মজলিসের কথা তুলে ধরবো, যেখানে ইতেকাফে বসতে পারাটা সৌভাগ্যের। কেননা এসব মজলিসে আসা মুসলিমদের আত্মিক ইসলাহের দায়িত্বে আছেন বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম। আসুন পরিচিত হই। বড় মসজিদ প্রখ্যাত বুযুর্গ মাওলানা আব্দুল হক নব্বইয়ের দশক থেকে ময়মনসিংহের বড় মসজিদে তার মুরিদান, ভক্ত ও সম্পর্কিত ব্যক্তিদের নিয়ে ইতিকাফের আমল করে আসছেন৷ তারই ধারাবাহিকতায় এখনও এই আমল চলে আসছে।

বড় মসজিদ

বড় মসজিদের ইতিকাফের কার্যক্রম জানতে যোগাযোগ করা হলে মাওলানা রঈসুদ্দীন মুঠোফোনে ইসলাম টাইমসকে জানান, বড় মসজিদে ইতিকাফের ধারা পাকিস্তান আমল থেকে মাওলানা ফয়জুর রহমান রহ.-এর মাধ্যমে চলে আসছে। তার ইন্তেকালের পর মাওলানা আব্দুল হক সাহেবের জিম্মাদারিতে হয়। তিনি প্রতিদিন বাদ যোহর ফাযায়েলে আমল-এর তালিম, বাদ আছর ইসলাহী নেছাবের তালিম এবং তারাবিহ-এর পর ইতিকাফ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন৷ প্রতিদিন সকাল দশটায় বিশেষ কারী সাহেবের মাধ্যমে কুরআনুল কারিমের বিশুদ্ধ তিলাওয়াত শিক্ষা দেয়া হয়। মাগরিবের পর ১২ হাজারের তাসবিহেরর আমল করা হয়। রমজান কেন্দ্রিক ইতিকাফে আলেম ও সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলানসহ প্রায় চার শতাধিক মানুষের জমায়েত হয় বড় মসজিদে।

খানকাহে হোসাইনিয়া বাড়েরা

আহমাদ মাদানী রহ.-এর খলিফা শায়খ আব্দুল মুমিন সাহেব এই খানকাহে রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেন৷ মহান বুযুর্গ আলেমকে কেন্দ্র করে খানকাহে হোসাইনিয়ায় বহু মানুষের জমায়েত হয়ে থাকে প্রতি বছর। এছাড়াও রমজানের শুরু থেকে খানকার মুতাওয়াল্লী মুফতি মাহবুব সাহেবের তত্ত্বাবধানে নফল এতেকাফ হয়৷ তিনি প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে ইসলাহী আলোচনা করেন। এতে উপকৃত হন বহু মানুষ। এসব তথ্য ইসলাম টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন খানকাহে ইতিকাফরত মাওলানা মঈনুদ্দিন সাদী।

জামিয়া আরাবিয়া মাখযানুল উলুম

ময়মনসিংহের প্রবীণ আলেম দীন মাওলানা আব্দুর রহমান হাফেজ্জী এক দশক সময় মাখযানে ইতিকাফের আমল করে আসছেন। সেখানে ইতিকাফকারীদের কী ধরনের বিশেষ আমল করেন তা জানতে চাওয়া হয় মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা মোহাম্মদ সাহেবের কাছে। তিনি ইসলাম টাইমসকে জানান, মাখযানে একাকী আমল বেশি করা হয়, এছাড়া কোরআন তিলাওয়াতের প্রতি বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করা হয়৷ আওয়াবীন ও তাহাজ্জুদে কুরআন তিলাওয়াত হয়৷ প্রতিদিন আছরের পর ইতিকাফকারীদের জন্য নসিহত করেন আব্দুর রহমান হাফেজ্জী।

পূর্ববর্তি সংবাদসরকারের বাধার কারণেই বেগম জিয়ার মুক্তি মিলছে না: রিজভী
পরবর্তি সংবাদদেশের আইনশৃঙ্খলা ও মানবাধিকার সুরক্ষায় সরকার দায় এড়াচ্ছে