সংঘর্ষ, আচরণবিধি লঙ্ঘন, ইভিএম বিতর্কের অভিযোগ, কে আসছেন দিল্লীর মসনদে?

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: সংঘর্ষ, ইভিএম বিতর্ক আর আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপক অভিযোগের মধ্যে ৭ দফার ভোট গ্রহণ শেষে আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল আটটা থেকে গোটা ভারতে একযোগে শুরু হয়েছে ভোট গণনা । রাতের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল আসতে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। তবে বিকেলের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যাবে কারা দিল্লীর মসনদ দখল করতে যাচ্ছেন।

ভারতীয় লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে ৫৪২ আসনে নির্বাচনের ভোট শেষ হয়েছে গত রোববার। গত ১১ এপ্রিল থেকে দেড় মাস ধরে সাত দফায় এই ভোট নেয়া হয়।  গত রোববার বিকেলে শুরু হয় এক্সিট পোলের জরিপ। এতে সব জরিপেই এনডিএকে ২৮০ থেকে ৩০৬ পর্যন্ত আসন জিততে পারে বলে আভাস দেয়া হয়। এ জরিপের ফল পেয়েই শাসক দল দিল্লিতে বিজয় শোভাযাত্রার প্রস্তুতি নিতে থাকে। গত মঙ্গলবার দিল্লিতে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয় শাসক এনডিএর শরিক দলগুলোকে। আত্মবিশ্বাসী বিজেপি নেতাদের এদিনে দেখা যায় ফুরফুরে মেজাজে।

অপরদিকে বিরোধী সব দলের কার্যালয়গুলোতে নিরবতার পাশাপাশি নেতৃবৃন্দকে সতর্ক মন্তব্য করতে দেখা যায়। তবে এর মাঝেও সব বিরোধী দল একটি ক্ষেত্রে একমত পোষণ করেছেন যে, ইভিএম নিয়ে তাদের প্রশ্ন রয়েছে এবং ভিভিপিএটি স্লিপ আগে গণনা করে তবেই ইভিএমে হাত দিতে হবে। একাট্টা হয়ে বিরোধী দলগুলো গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে তাদের দাবিদাওয়া পেশ করে এসেছে। তাদের আরো একটি দাবি হ’ল, কোন পোলিং বুথে অসামঞ্জস্য দেখা গেলে পুরো নির্বাচনী এলাকাতে ভিভিপিএটি স্লিপ এবং ইভিএমের গণনার সংখ্যা মিলিয়ে দেখতে হবে। তবে নির্বাচন কমিশন বিরোধীদের দাবি আমলে নেয়নি। সাফ জানিয়ে দিয়েছে আগের নিয়মেই হবে ভোটগণনা। অর্থাৎ আগেই ইভিএমে গণনা করা হবে।

ইভিএম বিতর্ক এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে, সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি পর্যন্ত এ নিয়ে তার সন্দেহের কথা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইভিএম নিয়ে যেসব অভিযোগ রয়েছে’, নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই সেগুলোর সুরাহা করতে হবে। মুখার্জি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন দেশের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান এবং ভারতের গণতন্ত্রের স্বার্থেই তাদেরকে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে হবে’।

কলকাতায় পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মমতা ব্যানার্জি বিরোধী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যাতে তারা তাদের সমর্থকদের সাথে নিয়ে ইভিএম স্ট্রং রুম দিন রাত পাহারা দেয়, যতক্ষণ না বৃহস্পতিবারের ভোট গণনা শেষ হয়। সমাজবাদী দলের কর্মীদের দেখা গেছে পালাক্রমে ইভিএম স্ট্রংরুমের উপর নজর রাখতে, যাতে কোন রকমের ইভিএম অদল বদল করা না হয়। আরজেডি কর্মীরা বিহারে ইভিএমের উপর নজর রাখছে এবং তারা অভিযোগ করেছে যে, সেখানে প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি। উত্তর প্রদেশের গাজিপুরের বিএসপি প্রার্থী আফজাল আনসারী একটি ভোট গণনা কেন্দ্রের সামনে ধর্নায় বসেছেন যাতে ইভিএমের নিরাপত্তায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়।

পূর্ববর্তি সংবাদদারুল মা’আরিফে আরবি ভাষা প্রশিক্ষণ কোর্সের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন
পরবর্তি সংবাদনজরুল সংগীত শিল্পী খালিদ হোসেন আর নেই