তানিয়া, নির্মমতার নিষ্ঠুর শিকার

ইসলা্ম টাইমস ডেস্ক: চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর নার্স শাহীনুর আক্তার তানিয়াকে মাথার খুলি ফাটিয়ে নির্দয়ভাবে হত্যা করার ঘটনার সত্যতা ধীরে ধীরে প্রকাশ হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রিমান্ডে থাকা  স্বর্ণলতা বাসের চালক নূরুজ্জামান ও তার সহযোগী (হেলপার) লালন মিয়া পুলিশকে ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, চলন্ত বাসের দরজা জানালা লাগিয়ে শাহীনুরকে ধর্ষণ করে তারা। হেলপারকে গাড়ি চালাতে দিয়ে প্রথমে ড্রাইভার নূরুজ্জামান তাকে ধর্ষণ করে। এরপর হেলপার লালনসহ আরো দু’জন ধর্ষণ করে। শাহীনুর নিজেকে বাঁচাতে সজোরে তাদের কিল ঘুষিও মারে। ধর্ষণের পর তাকে গলাটিপে বা অন্য কোনো উপায়ে হত্যা করতে চেয়েছিল ধর্ষণকারীরা। পরে মাথার খুলি ফাটিয়ে দিয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয় তারা।

তদন্তকারীরা বলছেন, ধর্ষণ ও হত্যার পর ধর্ষণকারীরা বিষয়টি সড়ক দুর্ঘটনা প্রমাণ করতে নাটক সাজিয়েছিল। ধর্ষণের পর শাহীনুরকে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়ার পর ধর্ষকরা নিজেরাই আবার ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে মেয়েটিকে পড়ে থাকতে দেখে অনেক স্থানীয় মানুষও এগিয়ে আসে। কিন্তু ধর্ষকরা স্থানীয়দের জানিয়েছিল এয়ারফোনে গান শুনতে শুনতে মেয়েটি বাস থেকে পড়ে গেছে, আমরাই হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। তাদের কথা বিশ্বাসও করেছিল স্থানীয়রা। পরে অচেতন অবস্থায় শাহীনুরকে পিরোজপুর বাজারের সততা ফার্মেসিতে নিয়ে যাওয়া হয়। ফার্মেসি থেকে মেয়েটিকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার কথা বললে স্বর্ণলতা বাসের স্টাফরা কটিয়াদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তদন্ত দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। আমরা একেবারেই নিশ্চিত যে শাহীনুরকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।’

ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকা সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ময়নাতদন্তে শাহীনুরকে ধর্ষণ ও হত্যার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের সময় সব বিষয় খুঁটিয়ে দেখেছি। মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এটা নিশ্চিত।

 

পূর্ববর্তি সংবাদশীঘ্রই বৃষ্টির সম্ভাবনা!
পরবর্তি সংবাদ১০ দিনের মধ্যে ৫২ ভেজাল পণ্য প্রত্যাহারের নির্দেশ হাইকোর্টের