মিয়ানমারে মুক্তি পেলেন রয়টার্সের দুই সাংবাদিক

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: রাষ্ট্রের গোপনীয়তা আইন ভঙ্গের দায়ে মিয়ানমারে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দুই সাংবাদিক জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। প্রায় ৫১২ দিন জেলে থাকার পর মঙ্গলবার সকালে ইয়াঙ্গুনের একটি কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা। খবর রয়টার্সের

এই দুই সাংবাদিক ওয়া লোন (৩৩) ও কিয়াও সোয়ে (২৯) কে গত বছরের সেপ্টেম্বরে দোষী সাব্যস্ত করে মিয়ানমারের আদালত এবং সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়। তারা দু’জনেই মিয়ানমারের নাগরিক।

প্রেসিডেন্টের বিশেষ ক্ষমতাবলে প্রতিবছর নববর্ষ উপলক্ষে বিপুল সংখ্যক বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়। এই প্রথা মেনে গত মাস থেকে এ বছরের  বন্দী মুক্তি দেওয়া শুরু হয়। প্রেসিডেন্টের বিশেষ ক্ষমতাবলে রয়টার্সের দুই সাংবাদিককেও আজ মুক্তি দেওয়া হলো।

দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে শুরু থেকে রাষ্ট্রের গোপনীয়তা আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনা হলেও রয়টার্স দাবি করে আসছিল তারা কোনো অপরাধ করেনি।

যে কারণে গ্রেফতার হন দুই সাংবাদিক: মিয়ানমারের রাখাইনে গণহত্যার একটি ঘটনা অনুসন্ধান করেছিলেন রয়টার্সের এই দুই সাংবাদিক। পরে তাদের আটক করে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। রয়টার্স দাবি করে, রাখাইনে দশ রোহিঙ্গাকে হত্যার বিষয়টি উদ্ঘাটন করেন এই দুই সাংবাদিক। সে জন্যই তাদের আশা ছিল যে দুই সাংবাদিকের তৎপরতা জনস্বার্থ হিসেবেই বিবেচিত হবে। রয়টার্সের প্রধান সম্পাদক স্টিফেন জে অ্যাডলার বলেন, আমরা অনুসন্ধানী রিপোর্টটি প্রকাশ করেছিলাম, কারণ, এটি নিয়ে বিশ্বব্যাপী আগ্রহ ছিল।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে যা ছিল: উত্তর রাখাইনের ইনদিন গ্রামে সেনাবাহিনী ও কিছু গ্রামবাসী মিলে সারিবদ্ধভাবে একদল রোহিঙ্গাকে বসিয়ে গুলি করে হত্যা করেছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর। ওই ঘটনাই উঠে এসেছিল রয়টার্সের প্রতিবেদনে, যার তথ্য-উপাত্ত ওই দুই সাংবাদিকই সংগ্রহ করেছিলেন। রয়টার্স দাবি করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের এটিই প্রথম কোনো প্রমাণ।

পূর্ববর্তি সংবাদশ্রীলঙ্কায় মুসলমানদের বাড়িঘর দোকানপাটে উগ্রপন্থী খ্রিষ্টানদের হামলা, কারফিউ জারি
পরবর্তি সংবাদবিএনপিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ছাড়ার আল্টিমেটাম লেবার পার্টির