যে তুর্কী মুআযযিনের আযানে অমুসলিমরাও অশ্রুসিক্ত

এনাম হাসান জুনাইদ।।
 
উসমানী আমলে নির্মিত তুরস্কে বার্সা প্রদেশের বিখ্যাত মসজিদ ‘গ্রীন মসজিদ’- এর মুআযযিনের আযান আগত দেশী-বিদেশী বিভিন্ন পর্যটককে মন্ত্রমুগ্ধের মতো আকৃষ্ট করে।
 
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে তুরস্কের প্রায় সকলেই মসজিদের মুআযযিন রিসেপ উয়ের নামটির সাথে পরিচিত।
 
একবার একদল পর্যটক ১৫ শতকে উসমানী আমল থেকে দাঁড়িয়ে থাকা এই মসজিদ পরিদর্শন করতে আসেন। তারা মসজিদের মুআযযিনের আযানে আকৃষ্ট হন। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়ার কল্যাণে সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। এরপর থেকে মুসলিম অমুসলিম নারী পুরুষ নির্বিশেষে যারাই এই মসজিদ দেখতে আসেন, তারা তার আযানও শোনেন এবং মুগ্ধতা প্রকাশ করেন।

রিসেপ উয়ের এই মসজিদে ২০০২ থেকে আজান দিয়ে আসছেন।
 
রিসেপ উয়ের বলেন, ‘আজান ইসলামের একটি নিদর্শন (শাআয়ের।)’
 
‘পৃথিবীর সকল মুসলিম দেশে একই শব্দে একই সুরে দৈনিক পাঁচবার আযান দেয়া হয়,” যোগ করেন গ্রীন মসজিদের মুআযযিন।
রিসেপ উয়ের আরও বলেন, ‘ আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, এ বিষয়টি নিশ্চিত করা যে, দেশি এবং বিদেশি পর্যটকরা আমাদের দেশকে, ইসলাম এবং মুসলিমদেরকে ভালবাসবে। এখানে এসে তারা আমাদের সহনশীলতা দেখবে। এবং এখান থেকে যখন বিদায় নিবে তখন আনন্দের সাথে বিদায় নিবে।’ বলেন মুয়াজ্জিন।
 
‘উসমানী আমলের একটি ঐতিহ্য ছিল, সুন্দর মিষ্টি সুরে কুরআন তিলাওয়াত করা এবং সমধুর সললিত কণ্ঠে আযান দেওয়া। আমি সেই ঐতিহ্যটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করছি,’ যোগ করেন রিসেপ উয়ের।
আজানের জবাবে মুসলিমরা তো নামাজ পড়তে আসেন। কিন্তু গ্রীন মসজিদের আজানের সুরে অমুসলিম পর্যটকদেরকেও দেখা যায় অশ্রু ফেলতে।
 
গ্রীন মসজিদের মুআযযিন বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমি দেখি অমুসলিমরা আমাদের এখান থেকে অশ্রুভেজা চোখে বিদায় নেয়।’
পূর্ববর্তি সংবাদলন্ডনের পথে প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তি সংবাদসংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে বিএনপির পাঁচ এমপি