ইসলাম টাইমস ডেস্ক: নড়াইলের লোহাগড়ায় উপজেলা নির্বাচন-পরবর্তী আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হওয়া সংঘর্ষে সৈয়দ মিজানুর রহমান নামে কুয়েতপ্রবাসী আওয়ামী লীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন ও অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের নোয়াগ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। । গত ২৪ মার্চ এই উপজেলায় নির্বাচন হয়েছিল।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য বুলবুল শেখ বলেন, ‘দুপুরে প্রতিপক্ষের ৫০-৬০ জন মিজানের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাঁকে খুন করেছে।’
অভিযুক্ত পক্ষ সৈয়দ ফয়জুল আমিরের ভাতিজা গ্রামের মাতবর সৈয়দ মাসুম রেজা বলেন, ‘ভোরে আমার বাড়িসহ আরও কয়েকটি বাড়িতে প্রতিপক্ষ হামলা করে। এতে উত্তেজনা বেড়ে যায়। দুপুরে উভয় পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হলে মিজান সামনের দিকে থাকায় তাঁর এই অবস্থা হয়েছে।’
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘সকালে কয়েকটি বাড়িতে হামলার পর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। মীমাংসার জন্য বিকেলে দুই পক্ষের থানায় বসার কথা ছিল। সৈয়দ ফয়জুল আমির পক্ষের লোকজন ভেতরে-ভেতরে প্রস্তুতি নিয়ে অতর্কিত হামলা করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। নিহত মিজানের মাথায় কোপ ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’