বান্দরবনে সীমান্তে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সরিয়ে দিতে মিয়ানমারের সৈন্য সমাবেশ

ইসলাম টাইমস ডেস্ক:  বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্তে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সরিয়ে দিতে   সীমান্তের কাঁটাতার ঘেঁষে সৈন্য সমাবেশ ও তুমব্রু সেতুর নিচে লোহার রড দিয়ে নেট তৈরি করেছে মিয়ানমার। এতে সীমান্তে বসবাসকারী রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মাঝে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

রোহিঙ্গা নেতা দিন মোহাম্মদ জানান, আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সীমান্ত থেকে সরিয়ে দিতে নতুন করে পাঁয়তারা শুরু করেছে মিয়ানমার। এ কারণে তুমব্রু খালে সেতু নির্মাণ এবং সেতুর নিচে লোহার নেট তৈরি করেছে। ফলে তুমব্রু খালে পানির স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্ন ঘটবে এবং বর্ষায় আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পসহ স্থানীয়দের কৃষি জমি পানিতে তলিয়ে গিয়ে চাষাবাদ ব্যাহত হবে।

এছাড়া বিনা উসকানিতে শুক্রবার থেকে কাঁটা তারের বেড়া ঘেঁষে সেনা টহল জোরদার করেছে মিয়ানমার। ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, তুমব্রু খালে ব্রিজ নির্মাণের কারণে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা। এখন দেখছি ব্রিজের নিচে লোহার রড দিয়ে নেট তৈরি করছে। এর ফলে নতুন করে আতঙ্ক আরও বাড়বে।

৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ব্রিজের নিচে লোহার রড দিয়ে নেট তৈরির বিষয়ে মিয়ানমার বলছে, ব্রিজের নিচে দেওয়াল না হলে বিভিন্ন লোকজন সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে, তাই নেট দেওয়া হচ্ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

সীমান্তে মিয়ানমারের অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের সত্যতা স্বীকার করে ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক বলেন, আরাকান আর্মির তৎপরতার কারণে মিয়ানমার সেনা ও বিজিপি টহল জোরদার করেছে। এতে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তবে সীমান্তে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিজিবি সতর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে রোহিঙ্গারা পালিয়ে এসে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রয় নেয়। সেই থেকে অদ্যাবধি সীমান্তে বসবাস করছেন তারা।

পূর্ববর্তি সংবাদনিজের সব সম্পত্তি ট্রাস্টে দান করে দিয়েছেন এরশাদ
পরবর্তি সংবাদমালয়েশিয়ায় শ্রমিকবাহী বাস খাদে, নিহত ১০, আহত ৩৪