নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিয়েছে সাদপন্থী মাদরাসার ১৭৭ পরীক্ষার্থী

আবরার আবদুল্লাহ ।।

আজ সম্মিলিত কওমি শিক্ষাবোর্ড আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ-এর অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় যথারীতি অংশগ্রহণ করেছেন সাদপন্থী মাদরাসার ১৭৭ পরীক্ষার্থী। তীব্র সমালোচনা, অপপ্রচার ও মামলার পরও তাদের প্রতি কোনো অসদাচরণ করা হয়নি কোথাও। বরং নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে পেরেছে তারা।

পরীক্ষা অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে তারা কোনো সমস্যা বা অসৌজন্যমূলক আচরণের মুখোমুখি হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন সাদপন্থী আলেম মুফতি জিয়া বিন কাসেম।

তিনি ইসলাম টাইমসকে বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা ঠিক মতো পরীক্ষা দিতে পেরেছে। পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কোনো সমস্যা হয়নি। তারা অন্য পাঁচজন পরীক্ষার্থীদের মতোই পরীক্ষা দিয়েছে।

তবে এখনও পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংশোধন করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, এখনও প্রবেশপত্রে আমাদের মাদরাসার নাম দেওয়া হয়নি। আমরা এই বিষয়ে তাদের সঙ্গে (বেফাক ও হাইয়া) আর কোনো কথা বলবো না। তাদের সঙ্গে কথা হবে আদালতের।

এসময় দ্রুত প্রবেশপত্র সংশোধন না করলে বেফাক ও হাইয়া নিজেদের বিপদ ডেকে আনবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এই বিষয়ে যোগাযোগ করলে বেফাকের মহাপরিচালক মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘হাইকোর্ট আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতে আমরা সেটা করেছি। সবার নামেই প্রবেশপত্র ইস্যু করা হয়েছে।’

তবে ঠিক কবে নাগাদ প্রবেশপত্র সংশোধন করা হবে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। এই বিষয়ে তিনি বলেন, এই বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য বৈঠক ডাকতে হবে। কিন্তু পরীক্ষার ব্যস্ততার জন্য তা এখনই করা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবছি। ঠিক কবে বসতে পারবো এখনই বলা যাচ্ছে না।

এর আগে আদালতের নির্দেশনা হাতে পাওয়ার গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাক ও হাইয়াতুল উলয়া। তাতে বলা হয়, অদ্য ০৭-০৪-২০১৯ ইংরেজী তারিখে বিকাল ৪:৪০ ঘটিকায় (আনুমানিক) মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রীট পিটিশন নং ৩৭৪৮/২০১৯ এর গত ৪-৪-২০১৯ তারিখের আদেশ অত্র বেফাক কর্তৃপক্ষের হস্তগত হয়েছে। উক্ত আদেশের বরাতে এই মর্মে নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে, রীট পিটিশনে বর্ণিত ১৭৭ জন পরীক্ষার্থীর যথাযথ প্রবেশপত্র সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রেরিত হয়েছে এবং তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবেশপত্র রীট পিটিশনে সংযুক্ত করা হয়েছে। উল্লেখিত ১৭৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রেরিত প্রবেশপত্র কোন কারনে হাতে না পেয়ে থাকলে তাদেরকে সরাসরি সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে তাদের রেজিস্ট্রেশন ফরমসহ উপস্থিত হয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে। এতদ্বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিচালক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

অন্যদিকে সাদপন্থীদের রিট আবেদনের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককেই বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা গেছে। তারা বলেছেন, সাদপন্থীরা নিজেদের ভুলের জন্য অনুতপ্ত না হয়ে উঠলো আদালতের মাধ্যমে উলামায়ে কেরামের উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করছে। ছাত্রদের পরীক্ষাই তো মূল বিষয় তা নিশ্চিত হওয়ার পর তারা আবার কেন আদালতে গেলো তা আমাদের বোধগম্য নয়।

পূর্ববর্তি সংবাদমামলা স্থগিত চেয়ে করা মওদুদের আবেদন খারিজ
পরবর্তি সংবাদতুলনামূলক কমেছে মন্ত্রীসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার