জাদুঘরের কলঙ্ক থেকে মসজিদের ঐতিহ্যে কবে ফিরবে তুরস্কের আয়া সোফিয়া!

সাদ আবদুল্লাহ মামুন ।।

পৃথিবী বিখ্যাত আয়া সোফিয়া শুধু তুরস্কের মুসলমানদের কাছেই নয়; সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছেই এটি একটি প্রিয় নাম। স্বপ্নের নাম। আয়া সোফিয়া এককালে গির্জা ছিল। পরে এটি মসজিদে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু হায! পরে সেটিকে জাদুঘরে পরিণত করে দেশটির ইসলামবিদ্বেষী ইহুদিবাদী নেতা কামাল আতার্তুক।

এখানও আছে সেই হালতেই। বর্তমানে সেখানে কোরআন তেলাওয়াত হয় না। নামাযের জামাত করা যায় না। মুসলমানরা ইবাদত-বন্দিগি করতে গেলে ইসলামবিরোধীরা হইচই ও বিশৃঙ্খলার শোর তোলে।

Image result for aya sophia

ষষ্ঠ শতকে খ্রিস্টান বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের শাসনামলে আয়া সোফিয়া নির্মাণ করা হয়। তখন এটি গ্রিক অর্থোডক্স গির্জা হিসেবে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু ১৪৫৩ সালে উসমানীয় খলিফাদের কাছে কনস্টান্টিনোপেলের পতন ঘটে। বিজয়ী মুসলমানরা নিজেদের অর্জিত আয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরিত করেন। ১৯৩৫ সালে তুর্কি ইহুদিবাদী নেতা কামাল আতাতুর্ক মসজিদটিকে জাদুঘর বানিয়ে ফেলে।

Related image

বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত আয়া সোফিয়ায় গেল ৮৫ বছরের মধ্যে ২০১৫ সালেই প্রথমবারের মতো একজন আলেম কোরআন পাঠ করেন। এর পর থেকে তুরস্কের মুসলমানরা প্রতি বছর রমজানে সেখানে কোরআন পাঠ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।

 

Related image

বিশ্বময় লাখো-কোটি মুসলমানের প্রাণের দাবি- জাদুঘরের কলঙ্কময় বোঝা থেকে আয়া সোফিয়াকে মসজিদের ঐতিহ্যে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু ইসলামবিরোধীদের কারণে সেটি হয়ে উঠছে না।

সম্প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, আয়া সোফিয়াকে আইনিভাবে মসজিদে রূপান্তর করা হবে। তাই যেন হয় খোদা!

পূর্ববর্তি সংবাদধানমন্ডির আবাসিক ভবনে আগুন
পরবর্তি সংবাদবন্দি ফিলিস্তিনিদের জুমার নামাজ নিষিদ্ধ করল ইসরাইল