বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ ও আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার তৃতীয় দিনে ভিসি’র পদত্যাগের একদফা দাবি তুলেছে তারা। এই দাবি আদায়ে শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার চত্ত্বরে বিক্ষোভ, ভিসির কুশপুত্তলিকা দাহ এবং ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করেন তারা।

তবে কারোর দাবির মুখে নয়, একমাত্র নিয়োগ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ছাড়া পদত্যাগ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম ইমামুল হক।

গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বৈকালিন চা চক্র ও আলোচনা অনুষ্ঠানে’ শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ না জানানোয় এবং তাদের খাবার প্যাকেট না দেওয়ায় অনুষ্ঠান স্থলের বাইরে প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপর একটি অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পণ্ড করার চেস্টাকারীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলেন উপাচার্য। উপাচার্যের এই উক্তির প্রতিবাদে এবং ওই মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে পরদিন ২৭ মার্চ সকাল থেকে ক্লাশ-পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

ওইদিন আরও কিছু দাবি যুক্ত করে ১০ দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনের শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ছাত্র আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করতে ২৭ মার্চ রাত ৩টার দিকে উপাচার্য তার একক ক্ষমতা বলে ২৮ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ এবং ওইদিন ২৮ মার্চ বিকেল ৫টার মধ্যে সকল আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেন।

এতে আরও ক্ষুব্ধ হয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ উপেক্ষা করে ২৮ মার্চ আবাসিক শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ না করে স্ব-স্ব হলেই অবস্থান নেন। একই সাথে ‘এক দফা এক দাবি, ভিসি তুই কবে যাবি’ শ্লোগান দেয় তারা।

শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা ফের ‘উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফা’ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সন্ধ্যায় তারা একই দাবিতে ক্যাম্পাস থেকে একটি মশাল মিছিল বের করেন। মশাল মিছিলটি বরিশাল-কুয়াকাটা সড়ক হয়ে ফের ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন শিক্ষার্থীরা। ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোন কটাক্ষ করেননি। যারা স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বানচাল করতে চেয়েছিলো তারা রাজাকার নয়তো কি? এই আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নেই। কারা কোন উদ্দেশ্যে আন্দোলন করছে, এই আন্দোলনের পেছনে কারা ইন্ধন দিচ্ছে সবই তিনি জানেন।

উপাচার্য প্রশ্ন রাখেন, তিনি ৩ বছর ১০ মাস সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন, এখন তিনি অযোগ্য হয়ে গেলেন? সরকার প্রধানের সিদ্ধান্ত ছাড়া পদত্যাগের কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তি সংবাদবনানীর আহত ব্যক্তি ও কুর্মিটোলা হাসপাতাল
পরবর্তি সংবাদলক্ষ্মীপুরে নও মুসলিম পরিবারকে দোকান করে দিলো এলাকাবাসী