যুদ্ধে ইয়েমেনের ৩৩ লাখ মানুষ ঘরহারা : ফেইম

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: ইয়েমেনে সৌদি হামলা ও অবরোধে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিবেদনে এর সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি বলা হলেও আরেকটি সংস্থা বলছে, নিহতের সংখ্যা ৫৭ হাজার। ফরাসি ত্রাণ সহায়তাকারী সংস্থা অ্যাকশন কন্ট্রালা ফেইম বলছে, ইয়েমেনে এই গৃহযুদ্ধের কারণে ৩৩ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

গত কয়েক বছর ধরে চলা ইরানসমর্থিত হুতি বিদ্রোহী ও সৌদিসমর্থিত সরকারি সেনাদের মধ্যে চলা লড়াইয়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতের মধ্যে বেসামরিক লোকজনই বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিবেদনে এর একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।

ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট এই যুদ্ধে যোগদানের পর থেকে ইয়েমেনে প্রায় ১০ হাজার লোক নিহত ও ৬০ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। হতাহতদের অধিকাংশই বেসামরিক লোক।

তবে নিহতের সঠিক পরিসংখ্যান জানায়নি সংস্থাটি। আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তাকারী সংস্থাগুলোর আশঙ্কা নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে। আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যাকশন অ্যাগেনেইস্ট হাঙ্গার জানিয়েছে, এই যুদ্ধে ৫৭ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।

ডব্লিউএইচও জানায়, দেশটিতে কলেরার প্রাদুর্ভাবও দেখা দিয়েছে। এখানে ২০১৭ এপ্রিল মাস থেকে প্রাণঘাতী এই মহামারিতে ২ হাজার ৫ শতাধিক লোক প্রাণ হারিয়েছে। প্রায় ১২ লাখ লোক এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বরাবরই শিশুদের ওপর যুদ্ধের বিরূপ প্রভাবের বিষয়টি তুলে ধরছে। দি ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির (আইআরসি) করা দুর্যোগপূর্ণ দেশগুলোর তালিকার শীর্ষে রয়েছে কয়েক বছর ধরে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেন। যুদ্ধের ফলে কৃষিপণ্য ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় দেশটির কৃষকরা গাছের পাতা খেয়ে জীবন ধারণ করছেন। গত বছরের শেষদিকে জাতিসংঘ সতর্ক করে জানায়, দেশটি মারাত্মক দুর্ভিক্ষের মুখে পড়তে যাচ্ছে।

বর্তমানে ইয়েমেনের দুই কোটি ৪০ লাখ লোকের জন্য মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। গত বছর সেখানে কলেরা মহামারি দেখা দিলে ১০ লক্ষাধিক লোক এতে আক্রান্ত হয়।

২০১৫ সালের মার্চে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলা শুরু হলে ইয়েমেনে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়।

পূর্ববর্তি সংবাদযে গণতন্ত্রের জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে সেই গণতন্ত্রই এখন দেশে অনুপস্থিত : ড. কামাল
পরবর্তি সংবাদনির্বাচনের আগে মুসলিম পরিবার উচ্ছেদ করা হচ্ছে আসামে