এবার যুক্তরাষ্ট্রে মসজিদে আগুন হামলা, চিরকুটে নিউজিল্যান্ডে সন্ত্রাসী হামলার তথ্য

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: এবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি মসজিদে আগুন হামলার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সময় রোববার ভোর ৩টার দিকে দেশটির সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি মসজিদে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

হামলার পর মসজিদটি থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করে ক্যালিফোর্নিয়া পুলিশ।

সেই চিরকুটে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার ঘটনার উল্লেখ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

হামলার সময় মসজিদটির ভেতরে অন্তত সাতজন মুসল্লি ছিলেন। তবে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানা গেছে। তবে আগুনে মসজিদটির বাইরের অংশে সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়াগো শহর থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইসলামিক সেন্টার অব এসকনডিডোতে হালকা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে বিবৃতি দিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়া পুলিশ।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ঘটনার ১৫ মিনিটের মাথায় ঘটনাস্থলে পুলিশ ও জরুরি সেবা পৌঁছায়। এসময় মসজিদের ভেতরের মুসল্লি ও বাইরের কেউ হতাহত হননি।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পৌঁছানোর আগেই মসজিদের মুসল্লিরা অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জাম ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রেণে আনেন বলে জানান তারা।

উদ্ধারকৃত চিরকুট বিষয়ে ক্যালিফোর্নিয়া পুলিশের কর্মকর্তা ক্রিস লিক স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল কেএনএসডিকে বলেন, মসজিদের পার্কিং লটের কাছে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। এতে সম্প্রতি শ্বেতাঙ্গ জঙ্গি কর্তৃক নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলায় ৫০ জনের নিহতের তথ্য উল্লেখ রয়েছে।

চিরকুটে লেখা আরও কিছু তথ্য বিষয়ে তদন্তের খাতিরে স্থানীয় গণমাধ্যমে বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি তিনি।

ঘটনাটিকে হেট ক্রাইম হিসেবে ধরে তদন্তে নেমেছে ক্যালিফোর্নিয়া পুলিশ।

এছাড়া সন্দেহভাজন অগ্নিসংযোগকারীর ব্যাপারেও কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

আক্রান্ত মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি ইউসুফ মিলার বলেন, নামাজ শেষে রাতে মসজিদে ৭ জন মুসিল্লি ঘুমিয়েছিলেন। ভোরের দিকে গোপনে এসে আগুন ধরিয়ে দিয়ে যায় দুবৃত্তরা।

এসময় কমপ্লেক্সের পার্কিং লটে একটি চিঠি পাওয়া যায়। যেখানে নিউজিল্যান্ডের ওই হামলা ঘটনার কথা উল্লেখ রয়েছে।

এ ঘটনার বিবৃতি দিয়ে স্টাফ নিউজিল্যান্ড ও এবিসি৭ গণমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ওই হামলা ঘটনায় মোটেই ভীত নন স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়।

গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওই মসজিদের মুসল্লিরা বলেন, মসজিদে এসব হামলা চালিয়ে আমাদের নামাজ বন্ধ করা যাবে না। আমরা কখনই নামাজ বন্ধ করবো না। মসজিদে একত্রিত হওয়াও বন্ধ করবো না।

এসকনডিডোর এই মসজিদটি চার বছর আগে নির্মাণ করা হয়। ১ লাখ ৪৩ হাজার মানুষের এই শহরে অনেকেই মসজিদটিতে নামাজের জন্য আসেন।

সূত্র: ফক্স নিউজ

 

পূর্ববর্তি সংবাদআল্লামা তাকী উসমানীর হত্যাচেষ্টা! কেন এই টার্গেট কিলিং?
পরবর্তি সংবাদস্বাধীনতা পদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী