নিউজিল্যান্ডে খ্রিস্টান জঙ্গির বর্বর হামলার প্রতিবাদে কক্সবাজারে বিক্ষোভ

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডে (১৫ মার্চ) জুমার নামাযের সময় খ্রিস্টান জঙ্গির হামলায় ৪৯ জন মুসুল্লি শহিদ হওয়ার ঘটনায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে কক্সবাজারে।

এ সময় হেফাজতের ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেছেন বিশ্বব্যাপী কথিত জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের সাথে মুসলমানদের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও এক শ্রেণীর মুসলিমবিদ্বেষী মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবী অব্যাহতভাবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের তকমা লাগিয়ে প্রচার করে আসছে।

শনিবার বাদ আসর কক্সবাজার শহরের লালদীঘি পাড় জামে মসজিদ চত্ত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সমাবেশে মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, বিশ্বব্যাপী ইহুদি-খ্রিষ্টান-কাদিয়ানি গোষ্ঠী মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। চীন, আফগানিস্তান, কাশ্মীর, ফিলিস্তিন ও মিয়ানমারে মুসলমানেদের রক্ত ঝরা বন্ধ হয়নি। এর মাঝে গত জুমাবার জুমার নামাজে নিউজিল্যান্ডের একটি মসজিদে খ্রিষ্টান সন্ত্রাসীরা নামাজরত মুসলমানদের উপর গুলি করে। এতে অর্ধশত নামাজরত মুসলমান শহিদ হয়েছে। এ ঘটনা সারা বিশ্বের মুসলমান শুধু নয়, সকল মানবতাবাদী মানুষকে আহত করেছে। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাবার ভাষা আমাদের জানা নেই।

তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডের সেই খুনি একজন খ্রিষ্টান সন্ত্রাসী হলেও তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিবেক কার্যকর কোনো ভূমিকা দৃশ্যমান হচ্ছে না। বিশ্বব্যাপী এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কার্যকর ভূমিকা কামনা করছি।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ঐক্যজোট জেলা সভাপতি ও নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি ও হেফাজতে ইসলামের সহ- সভাপতি হাফেজ মাওলানা সালামত উল্লাহ। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলাম কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ইয়াছিন হাবিব, হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা হাফেজ মুবিনুল হক, ইসলামী ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আবুল মঞ্জুর, মাওলানা শোয়াইব, মাওলানা খালেদ সাঈফী, মাওলানা নুরুল হক চকোরী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ব্রেনটন টারান্ট নামে অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত ২৮ বছর বয়সী এক খ্রিস্টান জঙ্গির হামলায় শুক্রবার (১৫ মার্চ) নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদে স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে জুমার নামাজ চলাকালে মুসল্লিদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। কাছাকাছি লিনউড মসজিদে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো এই নরাধম। দুই মসজিদে হামলায় শহিদ হন ৪৯ জন মুসুল্লি। এর মধ্যে আল নুর মসজিদে ৪১ জন ও লিনউড মসজিদে সাতজন নিহত হন।

পূর্ববর্তি সংবাদভারতীয় গোয়েন্দা ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান
পরবর্তি সংবাদনিউজিল্যাণ্ডের হামলা নিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করায় সিনেটরের মাথায় ডিম