ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্য : মেননের শাস্তির দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: জাতীয় সংসদে কওমী মাদরাসাকে বিষবৃক্ষের সাথে তুলনা, ইসলামী অনুশাসনকে ‘মোল্লাতন্ত্র’ ও আল্লামা আহমদ শফীসহ আলেম সমাজকে কটাক্ষ করে রাশেদ খান মেননের ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন।

বুধবার (০৬ মার্চ) বিকাল ৩ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিলপূর্ব সমাবেশে সভাপতির ভাষণে দলীয় আমীর আল্লামা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে কাদিয়ানিদের দোসর রাশেদ খান মেনন কুরআন-সুন্নাহর বিধানকে ‘মোল্লাতন্ত্র’ আখ্যায়িত করে ইসলামধর্মকে অবমাননা করেছে। আমি আশাবাদি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আল্লাহ-রাসূল এবং ইসলামকে অবমাননা করায় মেননকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করবেন। এ ধরনের বেয়াদব জাতীয় সংসদের সদস্য থাকতে পারে না। অবিলম্বে মেননের সংসদ সদস্য পদ বাতিল ও তার বিচার করে ক্ষুব্ধ তাওহিদী জনতাকে শান্ত করবেন।

তিনি বলেন, ৯৩ ভাগ মুসলমানের প্রতিনিধিত্বশীল ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সাথে সরকারের সুসম্পর্কের মাধ্যমে দেশ উন্নতি-অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাক, তা নাস্তিকগোষ্ঠী মেননগংরা সহ্য করতে পারছে না।

রাশেদ খানমেননের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা ফিরোজ আশরাফি, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন, মাওলানা সানাউল্লাহ, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী ও মাওলানা আফম আকরাম প্রমুখ।

মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, এ রকম জঘণ্য বক্তব্য দিয়ে রাশেদ খান মেনন সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্যতা হরিয়েছে। অবিলম্বে তাকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করতে হবে। স্বাধীনতার পর থেকে তারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে আসছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার চেষ্টা তারাই করেছিল। বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাতে চেয়েছিল। তার বিচার না হওয়ায় আজ তারা ওলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে কথা বলার দুঃসাহস দেখিয়েছে।

মাওলানা মুজীবুর রহমান হামিদী বলেন, রাশেদ খান মেনন কাদিয়ানীদের দালাল ও ইহুদীদের দোসর। ইসলামের দুশমনদের পৃষ্ঠপোষকতায় চলে তার রাজনীতি। এজন্য ইসলাম ও আলেম-উলামাকে সে সহ্য করতে পারে না। মন্ত্রীত্ব হারিয়ে ক্ষোভে সরকারকে বেকায়দায় ফালানোর জন্য উন্মাদের প্রমাদ বকছে। অবিলম্বে তার বক্তব্য সংসদের কার্যবিবরণী থেকে এক্সপাঞ্জ করতে হবে। দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার না করলে সারাদেশে আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পড়বে।

মুফতী সুলতান মহিউদ্দিন বলেন, মেননের এ বক্তব্য কুরআন-হাদীস ও ওলামায়ে কেরামকে অপমান করা হয়েছে। তার এ বক্তব্য মুরতাদ তাসলিমা নাসরিন ও লতিফ সিদ্দীকির বক্তব্যকেও হার মানিয়েছে। তাসলিমা নাসরিন যেমন বাংলাদেশে টিকে থাকতে পারেনি সেও টিকে থাকতে পারবে না। স্বঘোষিত এই নাস্তিক ৯৩% মুসলমানের বাংলাদেশের জন্য কলঙ্ক। অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করে শাস্তি দিতে হবে।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। দোয়ার মাধ্যমে মিছিলটি সমাপ্ত করা হয়।

পূর্ববর্তি সংবাদআলেমদের দৃষ্টিতে পরিবেশ ও বায়ু দূষণ রোধে জনগণ ও প্রশাসনের দায়িত্ব
পরবর্তি সংবাদইউটিউবে মরক্কোর আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ১৯ দেশের অংশগ্রহণ