মুহাম্মদ আবদুল্লাহ।।
এটিএন বাংলার ১৩ সাংবাদিকসহ প্রায় ৩০ জন কর্মীর চাকরিচ্যুতির মাস পার না হতেই এবার চ্যানেল নাইনের সকল সংবাদ কর্মী এক নোটিশে চাকরিচ্যুত হয়েছেন।
চ্যানেলটির কর্ণধার এনায়েতুর রহমান বাপ্পী এক নোটিশে জানিয়েছেন আর সংবাদ প্রচার করবেন না তিনি। অতএব সংবাদ বিভাগের সঙ্গে জড়িত সকলকে একযোগে অব্যাহতি দিয়েছেন।
স্বাভাবিক ভাবেই চ্যানেলটির মফস্বলে কর্মরতারাও কর্মহীন হয়ে পড়লেন। এ ধরনের গণ চাকরিচ্যুতির ঘটনা নজিরবিহীন। এক কলমের খোঁচায় সব সংবাদ কর্মীকে বেকারত্বের মুখে ঠেলে দেয়া হলো।
অনেক আগেই লিখেছিলাম- বাংলাদেশের গণমাধ্যমের সামনে ঘোর অমানিশা। শাসক শ্রেণীর সেবাদাসত্ব করে মিডিয়া টিকে না, টিকতে পারে না। রাজস্বে ধস অনিবার্য। কেউ রেহাই পাবেন না। দুদিন আগে আর পরে। একে একে আরও গণমাধ্যমে একই ধরনের ঘটনা ঘটবে।
কিছু দিন আগে এক বড় হাউজে সবার বেতন কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এবং সেই সিদ্ধান্ত মেনেই সবাই কাজ করতে সন্মত হয়েছেন। তার পরও মাস শেষে বেতন চান।
আরেক হাউজ থেকে উচ্চ পর্যায়ের চার জনকে মাত্র কয়েক ঘন্টা সময় দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনা জানান দিতেও বিব্রত বোধ করছেন ভুক্তভোগীরা। তাদের নাম প্রকাশ করে কোন প্রতিবাদ জানাতে সাংবাদিক ইউনিয়নকেও বারণ করেছেন। কী ভয়াবহ পরিস্থিতি!
এর আগে ইনকিলাব থেকে শতাধিক সংবাদ কর্মী চাকরিচ্যুতির শিকার হয়েছেন। বেকারের মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।
চ্যানেল নাইনের সাংবাদিক বন্ধুদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ এবং তুঘলকি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছি।