ইসলাম টাইমস ডেস্ক: কাশ্মীরের পুলওয়ামার হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানে বিরাজ করছিল তুমুল উত্তেজনা। এ ঘটনার পর পাকিস্তানকে সময় মতো সমুচিত জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রেখেছিল ভারত। অন্যদিকে আক্রান্ত হলে ইসলামাবাদের পক্ষ থেকেও নয়া দিল্লিকে দেখে নেওয়ার পাল্টা হুমকি আসছিল।
এসব হুমকির মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) পেরিয়ে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। বলা হয়েছে, হামলায় প্রায় ৩০০ জন নিহত হয়েছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত বালাকোট বিমান হামলায় ঠিক কত জনের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখেল শুধু বলেছিলেন, ‘অনেকের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে জইশের বেশ কয়েক জন শীর্ষ কমান্ডারও রয়েছেন।’
কিন্তু পররাষ্ট্র সচিবের বিবৃতির অনেক আগে থেকেই ভারতের বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা থেকে শুরু করে টেলিভিশন চ্যানেল সেনা থেকে শুরু করে ভারত সরকারের বিভিন্ন সূত্রকে উদ্ধৃত করে মৃতের সংখ্যা ২৫০ থেকে ৩০০ দাবি করে।
কিন্তু, তারপরেও বিমান বাহিনীর এয়ার ভাইস মার্শাল আর কে এম কপূর মৃতের সংখ্যা নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি। সোমবার বিমান বাহিনীর প্রধান বীরেন্দ্র সিংহ ধনোয়া স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, মৃতের সংখ্যা গোনা বিমান বাহিনীর কাজ নয়।
এরই মধ্যে সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য, সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এনটিআরও বিমান হানার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত বালাকোটের ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৩০০টি সক্রিয় মোবাইল সংযোগের হদিশ পেয়েছিল। সেখান থেকেই গোয়েন্দারা মনে করছেন বিমান হানার সময় ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কমপক্ষে ৩০০ জন উপস্থিত ছিল।
তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ যারা প্রশিক্ষণ পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, তারা ওই যুক্তি মানতে নারাজ। কারণ তারা দাবি করেছেন, প্রশিক্ষণের সময় কোন শিক্ষার্থীকে মোবাইল ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না।