ওবায়দুল কাদেরের শয্যাপাশে মির্জা ফখরুল

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ‘জীবন শঙ্কায়’ থাকা চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শয্যাপাশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার রাত পৌনে দশটার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পৌঁছান বিএনপি নেতারা। এখানেই চিকিৎসাধীন ওবায়দুল কাদের।

এ সময় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, বিএনপি নেতা রাজু ও শায়রুল কবির খান।

এর আগে রাত সাড়ে আটটার দিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় থেকে হাসপাতালের দিকে রওনা দেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে যাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা।

শায়রুল জানান, গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে নেতারা রওয়ানা হয়েছেন। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান ও বিএনপি নেতা রাজুসহ অন্যান্য নেতারা।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দল রাত সাড়ে ৮টার দিকে রওনা দিয়েছি। আমরা হাসপাতালের কাছাকাছি।

ইতিমধ্যে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় হাসপাতালে পৌঁছেছে সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

এরপর রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তাই তাকে আপাতত সিঙ্গাপুরে নেয়া হচ্ছে না।

সিঙ্গাপুর থেকে আসা চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ওবায়দুল কাদের হাত-পা নাড়ছেন, প্রস্রাব হচ্ছে, যেটা দুপুরের দিকে একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তার অবস্থা এখন উন্নতির দিকে। তাই আপাতত তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হচ্ছে না।

সাংবাদিকদের ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, ওবায়দুল কাদের তাকিয়ে সবকিছু দেখছেন, কথা বলতে পারছেন না। তাকে সবকিছু চেনানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আইসিইউর সুবিধা নেই উল্লেখ করে তিনি জানান, সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে যে চার সদস্যের দল এসেছে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন। তারাসহ এখানকার চিকিৎসকরা মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে নেয়া যাবে না। কারণ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আইসিইউর সুবিধা নেই। আর তার যে পরিস্থিতি সে অনুসারে আগের চেয়ে উন্নতি হলেও আইসিইউ সেবা ছাড়া পরিবহন করানো বা আইসিইউ ছাড়া রাখা যাবে না।

ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া জানান, অবস্থার আরও উন্নতি হলে তখন তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে পরিবহন করানো যাবে। এখন এখানেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন।

এর আগে রাত সাড়ে আটটার দিকে হাসপাতালে এসে পৌঁছান সিঙ্গাপুরের ওই চিকিৎসকরা।

প্রসঙ্গত, রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে ওবায়দুল কাদেরকে বিএসএমএমইউর ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেয়া হয়। সেখান থেকে জরুরি ভিত্তিতে তাকে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে এনজিওগ্রাম শেষে ওবায়দুল কাদেরের হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়ার কথা জানান চিকিৎসকরা।

তার সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর দোয়া চেয়েছে আওয়ামী লীগ ও তার পরিবার।

পূর্ববর্তি সংবাদকাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ওআইসির গভীর উদ্বেগ প্রকাশ 
পরবর্তি সংবাদহাটহাজারী মাদরাসায় অগ্নিকাণ্ড, অল্প সময়েই নিয়ন্ত্রণ