চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের মারামারি থামছে না

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: টানা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপ, উপ-গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এতে আহত হয়েছে ৩০ জনেরও অধিক ছাত্রলীগ কর্মী। কেউ বা পাথরের আঘাতে আবার কেউ প্রতিপক্ষের অস্ত্রের আঘাতে। ফলে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্ন হওয়ার পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন হলের আসবাবপত্র। লুটপাট হচ্ছে ব্যক্তিগত মালামাল।

আগের সংঘর্ষের জের ধরে বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারী ) দুপুরের দিকে আবারও মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ। সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার জের ধরে ভাঙচুর করা হয়েছে সোহরাওয়ার্দী হলের প্রায় ২৫ টি কক্ষ। এসময় তিনজন ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ৬ টি রাম দা। আহত হয়েছে ৬ জন ছাত্রলীগ কর্মী। সংঘর্ষ এড়াতে বর্তমানে ক্যাম্পাসে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

জানা যায়, চলতি মাসের ২২ তারিখ শাখা ছাত্রলীগের এক নেতাকে অপহরণের অভিযোগে রাতভর দফায় দাফায় সংর্ঘষে জড়ায় দু’পক্ষ। রাতে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত গড়িয়ে সকাল হতেই ফের সংর্ঘষে জড়ায় শাখা ছাত্রলীগের দু’পক্ষ। এতে দু’পক্ষের অন্তত ১৩জন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি ফের নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপরও ক্যাম্পাস জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ২৫ ফেব্রুয়ার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় হাটহাজারি থানা পুলিশের একটি টিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ জালাল ও সোহরাওয়ার্দী হলে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে। এতে দু’হল থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। আটক করে তিন ছাত্রলীগ কর্মীকে। অস্ত্র মামলায় জেলে পাঠানো হয় ওই তিন ছাত্রলীগ কর্মীকে। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ২৭ ফেব্রুয়ারী রাতে ফের সংর্ঘষে লিপ্ত হয় শাখা ছাত্রলীগের অন্য দু’টিপক্ষ। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পরস্পরের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন ছাত্রলীগের বিবদমান দুই গ্রুপের নেতারা। শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘বিজয় গ্রুপের কর্মীরা ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধ কার্যক্রমে জড়িত। তাই তাদেরকে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে।’

অপরদিকে, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক তারেকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনায় আমরা একটি মীমাংসার দিকে যাচ্ছিলাম কিন্তু তারা আমাদের উপর অতর্কিতে হামলা করে। তারা অস্তিত্ব সংটকে ভুগছে বলেই এ ধরণের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে ।’

বিরাজমান সংঘর্ষের ব্যাপারে হাটহাজারি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে চলেছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি চবিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে।

পূর্ববর্তি সংবাদইসলাম ও মাতৃভাষা : বাংলা ভাষায় আলেমদের অবদান সম্পর্কে আলোচিত বই
পরবর্তি সংবাদমিরপুর সচেতন যুবসমাজের মাহফিল ১ মার্চ