বার্ধক্য যে ভালোবাসার কাছে হার মেনেছে

এনাম হাসান।।

দীর্ঘ দশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নিয়মিত কুরআন হিফয করতে যেতেন  নব্বই বছর বয়সী বৃদ্ধা হামদিয়া জাআয মুুসা। ৮৪ বছর বয়সে শুরু করে দীর্ঘ ছয় বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে ৯০ বছর বয়সে  হেফয সম্পন্ন করেন এই বৃদ্ধা।

১৯২৯ সালে বসরার দক্ষিণে আল-মুদাইনায় তার জন্ম। বর্তমানে তিনি ঠিকমতো চোখে দেখতে পান না। চলাফেরা করতে সহযোগী লাগে। আর এ বয়সেই তিনি পবিত্র কোরআন হেফয করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন।

৬ বছর লাগাতার ১০ কিলো পথ পাড়ি দিয়ে হেফয করতে যেতেন হামদিয়া

আল জাযিরা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইরাকের দারুল কুরআন নামক এক কোরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নিয়মিত যেতেন হামদিয়া। তিনি এ প্রশিক্ষণ প্রকল্পের একজন একনিষ্ঠ অংশগ্রহণকারী ছিলেন। ৬ বছর নিয়মিত অধ্যয়নের ফলে তিনি ৯০ বছর বয়সে কোরআনে হাফেজা হওয়ার অনন্য রেকর্ড করেন।

 

দারুল কুরআন বসরার তত্ত্বাবধায়ক

বৃদ্ধা হামদিয়া বলেন, ‘আমি ছোট বেলা থেকে কুরআনের পাগল ছিলাম। কুরআনকে ভালবাসতাম। কারণ কুরআনই তো আমার দুনিয়া আখেরাতে কাজে আসবে।

‘ছোট বেলায় অন্তরে যে ভালো জায়গা করে নিয়েছিল, বার্ধক্য এবং বার্ধক্যজনিত অসুখবিসুখ আমার কুরআন হেফযের সেই ভালোবাসাকে দমাতে পারেনি।’ বলেন বৃদ্ধা হামদিয়া।

বৃদ্ধা হামদিয়া মনে করেন, কেবল আল্লাহর তাওফীকেই তার পক্ষে হিফয করা সম্ভব হয়েছে। তার মতে কুরআন হেফয কোনো কঠিন কাজ নয়। বিশেষত মহিলাদের  জন্যে যারা ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকেন।

বৃদ্ধা হাফেযা হামদিয়া এখন তার সময়কে তিলাওয়াতের মধ্যে, এবং পরিবারের সদস্যদেরকে দ্বীন শিখানোর মধ্যে কাটান।

বৃদ্ধা হামাদিয়ার শেষ জীবনের স্বপ্ন তিনি হজ্ব করবেন।

সূত্র: আল জাযিরা

 

 

 

 

 

 

পূর্ববর্তি সংবাদপাবনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ডাকাত আটক
পরবর্তি সংবাদনির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা