ইসলাম টাইমস ডেস্ক: শুধু ২০১৮ সালেই ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন তিন শতাধিক কাশ্মীরি। নিরাপত্তা অভিযানে নিহতরা সন্ত্রাসী বলে দাবি করে থাকে ভারত।
রাজ্য পুলিশ প্রধানের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর হিন্দুস্তান টাইমসকে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের মহাপরিচালক দিলবাগ সিং জানান, সেনাবাহিনী, রাজ্য পুলিশ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) ২০১৮ সালে ৩১১ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে। ২০১৭ সালে এ সংখ্যা ছিলো ২১৩ জন।
বিবিসি জানিয়েছে, নিরাপত্তা অভিযানে গত বছর নিহতদের বেশিরভাগই ছিলো দক্ষিণ কাশ্মীরের। সে অঞ্চলের পুলওয়ামাতেই ১৪ ফেব্রুয়ারি চালানো জঙ্গি হামলায় ৪৯ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হয়।
পুলওয়ামা হামলার পর ২১ শে ফেব্রুয়ারি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘আউটলুক ইন্ডিয়া’য় প্রকাশিত এক মন্তব্য প্রতিবেদনে কাশ্মীরে অস্থিরতার জন্য ভারতীয় কেন্দ্রীয় নীতিকে দায়ী করা হয়। বলা হয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে বিজেপির নীতির কারণে কাশ্মীরের উদারনৈতিক ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা একজোট হয়ে গেছে।
প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়, ‘আপনি সবকিছুর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করতে পারেন কিন্তু পৃথিবীর কোনো দেশই গণবিদ্রোহ তৈরি করতে পারে না।’
পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরের সাবেক মূখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ বলেন, বিজেপি নির্বাচনে জিততে চায়। এ লক্ষ্য হাসিল করতে সারা দেশে আগুন জ্বললেও তাদের কিছু আসে যায় না। পুলওয়ামা হামলা একটি জাতীয় ক্ষতি। এটিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করা উচিত নয়। বিজেপির উচিত জম্মু-কাশ্মীরের বিভেদ তৈরি বন্ধ করা এবং তাদের লোকদের সহিংসতা বন্ধ করতে বলা। কেবল এরপরই আমরা আলোচনায় বসতে পারি।
২০১৬ সালে বিচ্ছিন্নতাবাদী তরুণ নেতা বুরহান ওয়ানি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হওয়ার পর থেকে সহিংসতা মারাত্মক আকার ধারণ করে কাশ্মীরে।
বিবিসি জানায়, ২০১৮ সালে সাধারণ নাগরিক, স্বাধীনতাকামী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মিলিয়ে ৫শ’রও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে কাশ্মীর উপাত্যকায়।