মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী ।।
শুরু থেকেই সাদপন্থীদের অসৎ মনোভাব কিছুটা হলেও আঁচ করা যাচ্ছিল। “বিচার মানি তালগাছ আমার” এ ধরনের একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত সমঝোতা সভায় উপস্থিত হচ্ছে এমন ধারণাও করা হয়েছিল বিভিন্ন মহল থেকে। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি তারা থলের বিড়াল বের করে দেবে সেটা হয়তো কেউ কল্পনা করতে পারেনি।
সমঝোতার লক্ষ্য বিভেদ ভুলে, ব্যাথা ভুলে একসঙ্গে চলা হলেও শেষ পর্যন্ত তারা বিচ্ছিন্নই থেকে গেল। নিজেদের মতো পৃথকভাবে ইজতেমা করার সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল। কিন্তু এর ফলে সরকারি বৈধতা পেল তাবলীগের নামে নতুন একটি ফেরকা।
সরকারের মন্ত্রীরা যে দিন ঘোষণা করেছিল একসঙ্গে ইজতেমা হবে। মানুষ আশায় বুক বেঁধে ছিল যে, হয়তো তাবলীগের সংকট কেটে যাবে। ওলামায়ে কেরামও ১লা ডিসেম্বরের রক্তের দাগ মুছে ফেলে আবার তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার চিন্তাভাবনা করছিল। কিন্তু ওরা যে আসলে ক্ষমার যোগ্য নয়।
তারা আসলে কখনোই সমঝোতার চিন্তা করেনি। মনগড়া মতবাদ প্রতিষ্ঠা করাই তাদের উদ্দেশ্য। তারা ওলামাদের থেকে পৃথক হয়ে ভিন্ন একটি প্ল্যাটফর্ম কায়েম করতে চায়। যেখানে তারা দাওয়াত ও তাবলীগের নামে ব্যক্তিস্বার্থ প্রতিষ্ঠা করবে, নিজেদের মোড়লগিরি প্রদর্শন করবে।
তাবলীগের কাজ কোন ব্যক্তি কিংবা বংশের নিয়ন্ত্রণাধীন বিষয় না হলেও তারা এখন এক ব্যক্তিকে নিয়ে বড় জেদ ধরে বসে আছে। তারা ভাবছে ওই ব্যক্তি না হলে তারা আর দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করবেই না। অথচ প্রত্যেক ব্যক্তি মরণশীল।
আর কোন ব্যক্তি দাওয়াত ও তাবলীগের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হতে পারে না। কোরআন সুন্নাহর আলোকে ওলামাদের নির্দেশনায় দাওয়াতি কাজ চলছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত চলবে ইনশা আল্লাহ্। যারা তাবলীগের নামে ফেতনা করছে, আজ না হয় কাল তারা অবশ্যই প্রত্যাখ্যাত হবে। কেননা মিথ্যা সর্বদাই বিতাড়িত ও প্রত্যাখ্যাত হয়।
(লেখকের ফেসবুক পোস্ট থেকে নেয়া)