পাকিস্তানের নমনীয়তার কারণে কাশ্মিরের জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে: মাওলানা ফজলুর রহমান

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: পাকিস্তানের ইসলামী দলগুলোর জোট মজলিসে মুত্তাহিদা আমলের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা ফজলুর রহমান বলেছেন, পাকিস্তান সরকারের নমনীয়তার কারণে কাশ্মীরের জনগণ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অথচ কাশ্মীরের বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।

রোববার ইসলামাবাদে কাশ্মীর বিষয়ে সর্বদলীয় কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাওলানা ফজলুর রহমান বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামকেও জঙ্গিবাদের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা হচ্ছে। নাইন ইলাভেনের পর বিভিন্ন দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মুক্তিকামী মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা হয়েছে। কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদেরও জঙ্গির তকমা দেওয়া হয়। আমাদের সরকার ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এতে প্রভাবান্বিত হয়ে কাশ্মীর বিষয়ে নমনীয় ভূমিকা পালন করছে।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের চেয়ারম্যান মাওলানা ফজলুর রহমান আরও বলেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি খুব অস্থিতিশীল ও হতাশজনক। পাকিস্তানের বিগত সরকারগুলোর অনেক কাজের সঙ্গেই আমি জড়িত ছিলাম, সরকারি কাজকর্ম খুব কাছে থেকেই দেখে আসছি, কিন্তু এখনকার মতো এত হতাশাজনক অবস্থা কোনো সরকারের আমলেই ছিল না।

প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ বলেন, আমি দীর্ঘদিন কাশ্মীর কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম। কাশ্মীরের সমস্যাগুলো নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ সরকারের অনেক বিষয়েই জড়িত ছিলাম, কিন্তু এমন বাজে পরিস্থিতি আগে কখনো দেখিনি।

মাওলানা ফজলুর রহমান পাকিস্তানের বিগত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তার নেতৃত্বে মজলিসে মুত্তাহিদা আমল নামে রাজনৈতিক একটি জোট রয়েছে। মাওলানা ফজলুর রহমানের পিতা মাওলানা মাহমুদ মুক্তিযুদ্ধের আগে ৭০ সালের ভোটের পর পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তারই অংশ হিসেবে বিজয়ী নেতা মরহুম শেখ মুজিবর রহমানকে ক্ষমতা বুঝিয়ে দেয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমান বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু তা অস্বীকার করা হয়েছিল। মাওলানা ফজলুর রহমানের এ বক্তব্যটি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছিল।

সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস নিউজ

পূর্ববর্তি সংবাদকর্মক্ষেত্রে নারীর শালীন পোশাক পরিধানের আইন করছে মালয়েশিয়া
পরবর্তি সংবাদউচ্চ শব্দে গান, শব্দ দূষণের দায়ে দু’জনের কারাদণ্ড