পতিতাবৃত্তি ও ইয়াবার ব্যবসা, ভুয়া স্ত্রীসহ পুলিশের এসআই আটক

পতিতাবৃত্তি ও ইয়াবার ব্যবসার অভিযোগে ভুয়া স্ত্রীসহ আটক পুলিশের এসআই রোকন

ইসলাম টাইমস ডেস্ক: সিলেট নগরীর দাড়িয়াপাড়ায় দুটি নাবালিকা মেয়েকে পতিতাবৃত্তি করানো এবং ইয়াবা বিক্রির অভিযোগে ভুয়া স্ত্রীসহ পুলিশের এক উপ-পরিদর্শককে (এসআই) আটক করেছে র‌্যাব। এ সময় বাসা থেকে তমা ও দিপা নামের দুটি নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধার করা হয়।

শনিবার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে র‌্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈন উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে নগরীর দাড়িয়াপাড়া মেঘনা এ-২৬/১ নম্বর বাসায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে আটককৃতরা হলেন সিলেট নগরীর মুন্সিপাড়ার মৃত আবদুল রশিদের ছেলে পুলিশ সদস্য রোকন উদ্দিন ভুইয়া (৪০) ও নেত্রকোনা জেলার কালিয়াজুড়ি থানার আটগাঁও’র মৃত মফিজুল মিয়ার মেয়ে রিমা বেগম (৩৫)। তারা উভয়ই মেঘনা এ-২৬/১ নম্বর বাসার নিচতলায় থাকত।

এর মধ্যে পুলিশ সদস্য রোকন উদ্দিন ভূইয়া সিলেটের লালাবাজারের ৭ আর্মড ব্যাটালিয়নে এসআই পদে কর্মরত আছেন। রিমা বেগমকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে অবৈধভাবে তিনি ওই বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।

আর উদ্ধারকৃত দুই নাবালিকা মেয়ের একজন কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থাকার তামান্না আক্তার তমা (১২)। আরেকজন সিলেটের গোপালগঞ্জ থানার দিপা (১৩)।

র‍্যাব ৯ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান জানান, কোতোয়ালী থানাধীন দাড়িয়াপাড়ার একটি বাসার নীচতলায় শিশুদের দিয়ে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি করা হয় এবং সেখানে ইয়াবা কারবারিরা অবস্থান করছে- এমন সংবাদ পায় র‍্যাব ৯। এই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈন উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি দল সেখানে অভিযান চালায়।

র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অপরাধীরা। এ সময় একজন মহিলাসহ দুইজনকে আটক করে আভিযানিক দলটি। পরবর্তীতে আটকৃতদের কক্ষ তল্লাশি করে দুটি নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। আরো মেলে ৬০ পিস ইয়াবা। নাবালিকা মেয়েদের ইয়াবা খাইয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হতো।

র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত পুলিশ সদস্য রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া লালবাজার ৭ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে বাংলাদেশ পুলিশের এসআই হিসেবে কর্তরত আছেন বলে স্বীকারোক্তি দেন। রিমা বেগমকে নিজের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তারা ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরীব, অসহায় ও সুন্দরী নারী-শিশুদের ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে আনতেন। পরে জোরপূর্বক তাদের দিয়ে পতিতাবৃত্তি করাতেন। এছাড়া পুলিশ সদস্য রোকন উদ্দিন ইয়াবা ব্যবসায়ও জড়িত।

পূর্ববর্তি সংবাদমাত্র ৪৯ দিনে কোরআনের হাফেজ কুমিল্লার রাফসান
পরবর্তি সংবাদবিএনপির ফালু ও তার স্ত্রীর মালাকাধীন সব সম্পত্তি জব্দ