সাতক্ষীরার সফরে দেখে এলাম কাদিয়ানি পল্লী

আবু সালমান ।।

গত ২৬ শে জানুয়ারি ২০১৮ আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে গিয়েছিলাম সাতক্ষীরায়। সফরসঙ্গী ছিলাম তিন জন। নাজমুল হাসান, ইসমাঈল হাবীব ও আমি। রাত সাড়ে দশটার গাড়িতে আগে থেকেই টিকিট নেওয়া ছিল। যথাসময়ে গাবতলী থেকে আমাদের গাড়ি ছাড়লো। আমাদের গন্তব্য সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানা। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের একেবারে শেষ থানা, যার অর্ধেকের বেশি অংশজুড়েই বিস্তৃত সুন্দরবন। সেখানে এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়াই আমাদের এ সফরের মূল উদ্দেশ্য।দীর্ঘদিন সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম।

ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার দূরত্ব প্রায় ৩২০ কিলোমিটার বা তার কাছাকাছি। সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগরও একেবারে কাছের পথ না। সব মিলিয়ে আমাদের সফর যে বেশ দীর্ঘ তা আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলাম। কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের্ বাহার, বাংলাদেশের গৌরব ও অরণ্য জগতের ঈর্ষণীয় ‘সুন্দরবন’ দেখার প্রবল আগ্রহ-ই এত লম্বা পথ পাড়ি দেওয়ার সাহস যুগিয়েছে। আমাদের গন্তব্য থেকে সুন্দরবন একেবারেই কাছে; কয়েকটি গ্রাম পেরিয়েই। মাঝে শুধু একটা নদী। ওপারে সুন্দরবন।

যশোর থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত মূল সড়কের বেহালদশা হওয়াতে শ্যামনগর পৌঁছতে পৌঁছতে পরের দিন বেলা এগারটা বেজে গেল আমাদের। স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি সময় লেগেছে। যেহেতু হাতে সময় খুব বেশি নেই, তাই আমরা খাওয়াদাওয়া শেষ করে কয়েক গ্রাম পরেই সুন্দরবনের যে অংশ রয়েছে তার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ি। মটরসাইকেলে চড়েই আমরা রওয়ানা হই। শুকনো এঠেল মাটির এবড়ো থেবড়ো রাস্তা হওয়ার কারণে মটরসাইকেল প্রবলভাবে কাঁপাকাঁপি করছিল। রাস্তার দু’পাশে বড় বড় মৎসখামার। তার মাঝের সরু রাস্তা ধরে আমাদের মটরসাইকেল এগিয়ে চলছে। কিছুক্ষণ চলার পরেই আমরা সুন্দরবন দেখতে পেলাম। একটা নদী। এপারে আমরা, ওপারে সুন্দরবন।

নদীর পাশ ঘেষেই চলে গেছে মাটির রাস্তা। আজ সুন্দরবনের ভেতরে যাওয়ার সময় নেই। আগামী কাল ভোরে ভোরে এসে যাবো। এদিকে আসরের ওয়াক্ত হয়ে গেলো। আমরা মসজিদ তালাশ করতে থাকি। একেবারেই গ্রামীন পরিবেশ। মাটির ঘর। কাচা রাস্তা। ছোট ছোট বাচ্চারা মাটিমাখা গায়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। আক্ষরিক অর্থেই একটা অজপাড়া গাঁ। আমরা মসজিদ তালাশ করতে করতে সামনে অগ্রসর হচ্ছি। মিনিট কয়েক পরেই একটা মসজিদ চোখে পড়লো। মসজিদের পাশেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সাদা সরু মিনার। সেখানেই নামায পড়ব ভেবেছি। তখন আমার বন্ধু বললো, এটা কাদিয়ানীদের ‘মসজিদ’।

এ কথা শুনে আমরা সবাই তো একেবারে থ। এই অজপাড়া গাঁয়ে যেখানে মুসলমানদের মসজিদ খুঁজে পেতেই আমাদের কষ্ট হচ্ছে সেখানে কাদিয়ানীদের এবাদতখানা। তাও আবার জমকালো মিনারবিশিষ্ট! একেবারে সুন্দরবনের পাশ ঘেষে যে মাটির রাস্তা বেরিয়ে গেছে তার পাশেই এই এবাদতখানা।

প্রসঙ্গক্রমে একটা কথা বলে রাখি। কাদিয়ানীদের এবাদতখানাকে মসজিদ বলা যাবে না। কারণ, মসজিদ একমাত্র মুসলমানদের এবাদতখানার নাম। এটি একান্তই একটি ইসলামী পরিভাষা। কাদিয়ানীরা মুসলামান নয়, তারা ইসলামি সব মহলের সর্বসম্মতিক্রমে কাফের। তারা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ সা.- কে শেষ নবী হিসেবে স্বীকার করে না। বরং ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের কাদিয়ান নামক গ্রামের এক নরাধম, নবুওতের মিথ্যা দাবিদার মির্যা গোলাম আহমাদ কাদিয়ানীকে তারা নবী হিসেবে মানে। নাউযুবিল্লাহ। আর এ কথা সবাই জানেন যে রাসূল সা.- এর পরে কোনো ব্যক্তি নবুওত দাবি করলে সে নিঃসন্দেহে কাফের। এবং যারা তাকে নবী হিসেবে মেনে নিবে তারাও কাফের। রাসূলের জীবদ্দশায় মুসায়লামাতুল কাজ্জাবের ঘটনা সুপ্রসিদ্ধ। সে-ও নবী হবার দাবি করেছিল। সাহাবায়ে কেরামের একটি বড় দল তার অনুসারীদের সাথে যুদ্ধ করে তার ও তার অনুসারীদের নাপাক অস্তিত্ব থেকে নজদ -এর ভুমি পবিত্র করেছেন। সে ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। (দীর্ঘ সে ইতিহাসের অবতারণা এখানে প্রাসঙ্গিক হলেও আলোচনা দীর্ঘ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় শুধু ইঙ্গিত দিয়ে দেওয়া হলো।) কাদিয়ানীরা নিজেদেরকে মুসলমান বলে দাবি করে থাকলেও বস্তুতপক্ষে তারা কখনই মুসলমান নয়। তাই তাদের এবাদতখানাকেও মসজিদ বলা যাবে না।

যাই হোক। সুন্দরবনসংলগ্ন এই অজপাড়া গাঁয়ে- যেখানে শহরকেন্দ্রিক সভ্যতার কোনো আলো-বাতাস নেই, সাধারণ মানুষের দ্বীনী তা‘লীমের কোনো সুন্দর ব্যবস্থাপনা নেই, সর্বোপরি যেখানকার মানুষ সাদাসিদে সহজ সরল- এমন একটা জায়গাতে এসে কাদিয়ানীদের এবাদতখানা দেখে মনটাই খারাপ হয়ে গেল। মনটা আরো খারাপ হলো যখন বন্ধু বললো, এর কিছু দূর পরেই ওদের আরেকটা এবাদখানা আছে। সেটা এরচে’ আরো বড়।

এবার তো আমাদের সুন্দরবনের প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার ইচ্ছাটাই একেবারে মাটি হয়ে গেল। মনটা হু হু করে কেঁদে উঠলো। রাসূল সা.-এর দুশমনরা এখানে এসে ঘাঁটি বেধেছে, আমরা জানিই না। তারা রাসূল সা. -এর সরলমনা উম্মতদেরকে এটা সেটা বুঝিয়ে তাঁর উম্মতের গন্ডি থেকে বের করে এক প্রতারক, নবুয়তের মিথ্যা দাবিদারের ‘উম্মত’-এর তালিকায় নাম লেখাচ্ছে।

আমরা মোটরসাইকেল থেকে নেমে তাদের এবাদতখানার কতগুলো ছবি তুললাম ও ভিডিও করলাম। এ গ্রামে কাদিয়ানীদের সংখ্যা কী পরিমাণ তা জানার আগ্রহ হলো। আমরা নামায পড়ার জন্য কোনো মসজিদ খুঁজতে লাগলাম। কিছুদূর এগুতেই আরেকটা মসজিদ। যেটা মেরুন কালারের। এখানে নামায পড়বো ভাবছি। বললো, এটাও কাদিয়ানীদের এবাদতখানা। এক দেড় কিলোমিটার সামনে এগিয়ে আমরা একটা মসজিদ পেলাম। সেখানে আসরের নামায পড়ে মসজিদের সামনে বেঞ্চে বসে থাকা স্থানীয় কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তির সাথে কথা বললাম। তাদের কাছ থেকে এলাকার যে তথ্য উঠে আসলো তা-ই এখানে তুলে ধরছি।

এক. এখানে প্রায় এক হাজার কাদিয়ানী ভোটার আছে। (যদি ভোটারের সংখ্যাই হয় এক হাজার তাহলে যারা এখনও ভোট দেওয়ার বয়সে উপনীত হয়নি তাদেরকে হিসেবে ধরলে সংখ্যা দ্বিগুণ হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।)

দুই. প্রতিবছর কাদিয়ানীরা এখানে ‘সালানা জলসা’র আয়োজন করে। সেখানে কাদিয়ানীদের পাশাপাশি স্থানীয় মুসলমানদেরকেও সমানভাবে দাওয়াত করে। উন্নত মানের খাবার-দাবারের আয়োজন করে। খাবার পর্বের আগে বা পরে কেন্দ্রীয় (ঢাকা) কোনো ব্যক্তি তাদের সামনে এ ধর্মমতের উপর আলোচনা করে। কোরআন হাদীস (!) এর উদ্ধৃতিতেই তারা কথা বলে। কথায় কথায় কোরআনের আয়াত ও রাসূলের হাদীস মানুষকে শোনায়। (নিঃসন্দেহে তাদের এ আলোচনা পর্বই এ মহা আয়োজন ও ব্যবস্থাপনার মূল উদ্দেশ্য। যেখানকার মানুষ দ্বীনী শিক্ষা থেকে প্রায় বঞ্চিত তাদের সামনে কোরআনে আয়াতের অপব্যাখ্যা করতে ও হাদীসের অপপ্রয়োগ করতে তাদের কোনো ধরণের অসুবিধা হওয়া কথা না। কে তাদেরকে টুকবে!!)

তিন. কাদিয়ানীদের এবাদতখানার উপর ডিসএ্যান্টেনা আছে। তাদের ওখানে টেলিভিশন আছে। লন্ডন থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদীর পরিবেশন করা হয় এখানে। কাদিয়ানীদের অধিকাংশ ব্যক্তিবর্গ সে অনুষ্ঠানমালা গুরুত্বের সাথে দেখে।

চার. দুই তিন মাস পরপর ‘সত্যের সন্ধানে’ নামে স্যাটেলাইটভিত্তিক একটা প্রোগাম হয় । তারা তাদের এই প্রোগাম সবাইকে শুনানোর জন্য মাইক ব্যবহার করে। (এটা আমাদের কাছে বেশ আশ্চর্যজনক বলে মনে হলো। আজ পর্যন্ত শুনে আসছি কাদিয়ানীরা গোপনে গোপনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। কিন্তু এখানে ওদের কার্যক্রম একেবারেই প্রকাশ্যে ও বুক ফুলিয়ে। এটা খুবই শঙ্কার বিষয়। বিষয়টা নিয়ে আমরা এখনই যদি না ভাবি তাহলে এমন একসময় হয়ত আসবে যখন ভেবেও কাজ হবে না।)

পাঁচ. দু’তিন মাস আগে তারা এখানে নতুন আরেকটি এবাদতখানা নির্মান করেছে। এখান থেকে একশ গজ দূরেই সেটা। (নতুন এবাদতখানা গড়ে তোলার অর্থ এ ছাড়া আর কী হতে পারে যে, তাদের জনসংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। পূর্বের এবাদতখানা এখন এত লোকের জায়গা দিতে পারছে না!!)

তাদের কাছ থেকে মূল্যবান তথ্যাবলী পেয়ে আমরা নতুন গড়ে ওঠা এবাদতখানাটি দেখতে গেলাম। ঘুরে ঘুরে দেখলাম। মোবাইলের মাধ্যমে কয়েকটা ছবি তুললাম। পরে আমরা সেখান থেকে চলে আসলাম।

যেতে যেতে ভাবছিলাম এখানে কাদিয়ানীরা লাগামহীনভাবে ও নির্বিঘ্নে যে বিদ্যুৎগতিতে ধাবমান তাতে আগামী কয়েক বছর পরে মুসলমানরাই এখানকার ‘সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠি’তে রূপান্তরিত হয়ে যায় কি না কে জানে! বিষয়টা নিয়ে আমার মধ্যে এক ধরণের তোলপাড় সৃষ্টি হলো। আমি ভাবছিলাম, যদি শ্যামনগর থানার সকল মসজিদের ইমাম ও খতীব সাহেবরা জুমার আলোচনায় কাদিয়ানীদের কুফুরী আকীদা-বিশ্বাস ও বাতিল ধ্যান-ধারণা সম্পর্কে প্রমাণনির্ভর আলোচনা করেন তাহলে এ ফেতনা অনেকাংশেই কমে আসবে। অন্তত নতুন করে কেউ কাদিয়ানী ধর্মমত গ্রহন করবে না।

আমি আমাদের মটরসাইকেল চাকল ইসমাইল ভাইয়ের কাছে জিজ্ঞাসা করলাম, এখানকার মসজিদগুলোতে এদের কুফরী আকীদা নিয়ে কোনো বয়ান হয় না? সে বললো, কেউ সাহস পায় না এদের বিরূদ্ধে কথা বলতে। আমি তো একেবারে আসমান থেকে পড়লাম। একটি মুসলিম দেশের মুসলিম জনপদে মসজিদের ইমাম সাহেব সাধারণ মুসলমানদের ঈমান আকীদা সংরক্ষণের প্রয়োজনে মুসলিম বেশধারী একটি অমুসলিম সম্প্রদায়ের মতবাদ ও আকীদা বিশ্বাস নিয়ে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না!! এতে আমাদের সফরসঙ্গী সবাই যারপরনাই বিস্মিত হলো। সবার মাথায় হাত। সবার একই প্রশ্ন। কেন তারা মুখ খুলতে পারে না?

আমাদের সাথে থাকা স্থানীয় একজন বললো, কারণ এখানকার পুলিশপ্রশাসন ও সরকারী প্রভাবশালী কর্মকর্তা প্রায় সবাই তাদের পক্ষে। তাদের বিরূদ্ধে কোনো ধরণের পদক্ষেপ নিলেই প্রশাসন বাধা দেয়। অথবা কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করে। এমনকি মসজিদের মিম্বারে বসেও। ওয়াজ-মাহফিলেও কাদিয়ানীদের বিরূদ্ধে কথা বলা নিষেধ। তার কথা শুনে আমাদের কাছে মনে হলো আমরা কোনো অমুসলিম দেশের নাগরিক, যেখানে আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হওয়াতে রাজধর্মের বিরূদ্ধে কথা বলতে পারছি না। জানি না আমাদের সে সাথীর কথা কতটুকু বাস্তবসম্মত। তবে তার কথা থেকে যে বাস্তব সত্যটা ফুটে উঠেছে তা হলো এখানকার মসজিদের মিম্বারে, মাহফিলের মঞ্চে কখনও কাদিয়ানীদের কুফুরী আকীদা সম্পর্কে আলোচনা হয় না।

আমার বিশ্বাস যদি সব মসজিদ থেকে এই আওয়াজ উঠতো তাহলে কাদিয়ানীদের স্বরূপ উন্মোচিত হতে বেশী সময় লাগতো না। বাংলাদেশের যে সকল জনপদে কাদিয়ানীদের ঘাটি গড়ে উঠেছে তার আশপাশের মসজিদের ইমাম সাহেবগণ যদি তাদের জুমার আলোচনাতে এ বিষয়টাও শামিল করেন তাহলে এটা এ ঈমানবিধ্বংসী ফেতনার মূলোৎপাটনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়। তাছাড়া এ বিষয়ে সঠিক পদ্ধতিতে অগ্রসর হওয়ার জন্য পরিকল্পনামাফিক একটা পদক্ষেপ নিতে হবে ওলামায়ে কেরামের। আমার যেটা বুঝে আসে, যে আন্দোলন যেভাবে আসে তাকে সেভাবেই দমন করতে হয়। কাদিয়ানীরা কোরআন হাদীসের অপব্যাখ্যা করে আমাদের সরলমনা মুসলমানদের ঈমানহারা করছে। তাদেরকে বুঝাতে চাইছে তারাই প্রকৃত মুসলমান। তারাই কোরআন হাদীসের আসল অনুসারী। কোরআনের সিদ্ধান্তকে তারাই আকড়ে ধরেছে। সুতরাং তাদের বিরূদ্ধে আমাদের কাজ করতে হলে আগে তাদের এ সকল বিভ্রান্তিকর অপব্যাখ্যার জবাব দিতে হবে। সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তির কান পর্যন্ত যেন তাদের কুফুরী আকীদাগুলো স্পষ্ট হয়ে যায় সে ব্যবস্থা আগে করা এমনটাই আমার বুঝে আসে। তবে পরিস্থিতির বিবেচনায় ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে তাও নিতে হবে সদূরপ্রসারী ফলাফলের দিকে তাকিয়েই। এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপই নেয়া যায়।

যাইহোক, আমরা সেখান থেকে ফিরে যাওয়ার পথে ইসমাঈল ভাই আমাদেরকে রাস্তার পাশেই একটা পাকা বাড়ি দেখিয়ে বললেন, এই বাড়িওয়ালার মাধ্যমে এ অঞ্চলে কাদিয়ানী ধর্মমতের সূচনা হয়েছে। তিনি বললেন, এ ব্যক্তি ছিল বেশ প্রভাবশালী ও সমাজের মান্যবর। হয়ত কাদিয়ানীরা তার এ সামাজিক অবস্থানকে কাজে লাগাতে তাকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা তাদের একটা কৌশল। সমাজের প্রধান বা প্রভাবশালী কোনো ব্যক্তিকে তাদের দলে ভিড়াতে পারলে তার সামাজিক প্রভাবেই হয়ত অনেক মানুষ এমনিতেই আমাদের নৌকায় পা পাড়াবে।তাছাড়া এ ব্যক্তির আত্মীয়স্বজন তো আছেই। এভাবে যখন তাদের অনুসারীরা উল্লেখযোগ্য একটা সংখ্যায় এসে দাড়াবে তখন সেখানে একটা এবাদতখানা গড়ে তুলবে। পরে আমি জানতে পারলাম কাদিয়ানীরা এ পন্থাই অবলম্বন করে থাকে।

[ইনশাআল্লাহ সামনে কাদিয়ানী সমস্যা আকীদাগতভাবে প্রতিরোধ ও করণীয় নিয়ে এখানে কিছু আলোচনা হবে।]

পূর্ববর্তি সংবাদবুদ্ধিবৃত্তিক কাজে পিছিয়ে ডানপন্থী দলগুলো
পরবর্তি সংবাদলক্ষ্মীপুরে পুলিশের ওপর আওয়ামী লীগের হামলা