ইসলাম টাইমস : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন নির্বাচন কমিশনে বলেছেন, তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানির মাত্রা ১০ ডিসেম্বর থেকে আরও বেড়েছে। এই আট দিনে ঐক্যফ্রন্টের বিরুদ্ধে ৯৫টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় তাদের ২ হাজার ২৪১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এসে এক বৈঠকে এ অভিযোগ করেন ড. কামাল হোসেন।
বৈঠকে মামলা ও গ্রেফতারের সংখ্যা উল্লেখ করে একটি তালিকা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে দেয় ঐক্যফ্রন্ট। তালিকায় উল্লেখ করা হয়, ১০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর ৯৫টি মামলা হয়েছে। এসব মামলার এজাহারে ১২ হাজার ১৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাগুলো করা হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাত হিসেবে আরও নয় হাজার ৭৩৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ২৪১ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন।
ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ইসিকে জানানো হয়, প্রতীক বরাদ্দের পর তাদের ২৪ নেতাকর্মী দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতিত হয়েছেন এবং ৪ জন মারা গেছেন।
বৈঠকে ইসিকে জানানো হয়, ১১ নভেম্বর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপিসহ ২০দলীয় জোট এবং ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৫৮টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় এজাহারে ২৩ হাজার ৫৩০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২৪ হাজার ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের ৬ হাজার ২৯১ জন গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের ১৩ জন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং ৩ জন মারা গেছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে এই বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ড. কামাল হোসেন ছাড়াও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আবদুল কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না ও জাফরুল্লাহ চৌধুরী।