‘নিরাপত্তা দিতে’ বিএনপির প্রার্থী আশফাককে থানায় নিয়ে গেছে

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনে বিএনপির প্রার্থী খোন্দকার আবু আশফাকসহ অন্তত ১০ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের বক্তব্য, ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁকে থানায় নেওয়া হয়েছে।

বুধবার বিকালে দোহারের লটাখোলা করম আলী মোড় থেকে ধানের শীষের প্রতীকের মিছিল বের হলে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বুধবার বিকালে দোহার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনের বিএনপির প্রার্থী খোন্দকার আবু আশফাক। প্রচারণাকে কেন্দ্র করে উপজেলার লটাখোলা করম আলীর মোড়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিলসহকারে সমেবত হয় নেতাকর্মীরা।

পরে করম আলীর মোড় থেকে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে একটি মিছিল বের হয়ে উপজেলার প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়া বাজারসহ প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।

মিছিলের শেষপর্যায়ে পুলিশের উদ্দেশে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। একপর্যায়ে লটাখোলা করম আলীর মোড় থেকে পুলিশ বিএনপির প্রার্থী খোন্দকার আবু আশফাককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় দোহার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মেছেরসহ অন্তত ১০ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। তবে বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি, অন্তত ৩০-৩৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের জানান, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঝামেলা হওয়ার আশঙ্কা ছিল বলে প্রার্থীর নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁকে থানায় নেওয়া হয়েছে।’

নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার কালাম বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে এবং অন্যায়ভাবে আমাদের নেতাকে তুলে নিয়েছে।’

দোহার উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন অভিযোগ করেন, ‘সরকার দলীয় প্রার্থী দিন–রাত প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু তাদের কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হচ্ছে না। আর আমরা মাঠেই নামতে পারছি না।’ তিনি দাবি করেন, পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হয়রানি করছে।

পূর্ববর্তি সংবাদদৌহিত্রের স্মৃতিতে মুফতি আমিনী রহ.
পরবর্তি সংবাদনির্বাচন পর্যবেক্ষণে ফিরল অধিকার