নিউইয়র্কের দ্য মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব অার্ট বলছে, বিশ্বব্যাপী মানুষের মাঝে ধর্মীয় পোশাকের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। বিশেষত নারীদের মধ্যে তুলনামূলক ইসলামি পোশাকের জনপ্রিয়তা বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। তারা বলছে, নারীদের পোশাক কেমন হবে তা মুসলিমদের কাছ থেকে পশ্চিমাদের শেখা প্রয়োজন।
সম্প্রতি দ্য ইয়াং মিউজিয়াম অব সান ফ্রান্সিসকো ইসলামি পোশাকের উপর একটি প্রদর্শনীরে আয়োজন করেছে। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে শুরু হওয়া প্রদর্শনী শেষ হবে ৬ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে। প্রথমবারের মতো আয়োজিত প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে ৮০ প্রকারের ইসলামি পোশাক।
পশ্চিমা বিশ্বের প্রবল ইসলাম বিদ্বেষী মনোভবের মধ্যে সাড়ে ৩ মাসব্যাপী ইসলামি পোশাকের প্রদর্শনীটিকে পশ্চিমা সমাজে ইসলামি সাংস্কৃতির গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাওয়ার বড় প্রমাণ বলে মনে করছেন অনেকে।
পশ্চিমা ফ্যাশনবিদ লিজ বুকার বলেন, আমি এক দশক যাবত মুসলিম নারীদের পোশাকের উপর গবেষণা করেছি। আমার গভীর উপলব্ধি হলো, মুসলিম নারীদের পোশাকরীতি সমাজে ইসলাম সম্পর্কে প্রচলিত ধারণার কাঠামোকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। তিনি নারীর ইসলামি পোশাকের তিনটি দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তাহলো, বিনম্র পোশাক, শালীন ও নারীসূলভ পোশাক ও আরামদায়ক পোশাক। তিনটি বিষয়-ই পশ্চিমা নারীদের কাছে ইসলামি পোশাকের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করছে তার দাবি।
লিজ বুকার তার প্রতিবেদনে আরও দাবি করেন যে, মুসলিম নারীরা পশ্চিমা সমাজে ইসলাম ও মুসলমানের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করছে। কারণ, মুসলিম নারীদের পোশাক পোশাক তাদেরকে নতুন করে ভাবার সুযোগ করে দিচ্ছে। একই সঙ্গে মুসলিম নারীদের পোশাকগুলো অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত।
এ ক্ষেত্রে লেখক একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তাহলো, ২০১৭ সালেও ৫০ ভাগ আমেরিকান মনে করতো না যে, আমেরিকান মুসলিমরা সমালের মূলধারার অংশ নয়। কিন্তু ইসলামি পোশাকের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমেরিকান মুসলিমরা খুব সহজে সমাজের সঙ্গে অঙ্গীভূত হতে পারবে। এবং একই সূত্রে ইসলাম ও মুসলমান সম্পর্কে পশ্চিমা সমাজের ভুল ধারণা দূর হবে। প্রচলিত চিন্তা কাঠামোর পরিবর্তনের মাধ্যমে পশ্চিমা সমাজে ইসলামের অগ্রযাত্রা গতিশীল হবে।
সূত্র : ব্রিটেনের ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকায় প্রকাশিত লিজ বুকারের প্রতিবেদন অবলম্বনে আবরার আবদুল্লাহ। (সংক্ষেপিত)