স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে যে কারণে অনুপস্থিত ছিলেন আল্লামা আশরাফ আলী ও মাওলানা আবদুল কুদ্দুস

নিজস্ব প্রতিবেদক : তাবলিগ জামাতের চলমান সংকট নিরসনের লক্ষ্যে আজ (১৫ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের অফিসে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে একটি প্রতিনিধি দলের আবারও দেওবন্দে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে অন্যান্য বারের মতো তাবলিগ জামাতের সংকট নিরসনের এ বৈঠকটিতে উপস্থিত ছিলেন না আল্লামা আশরাফ আলী, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস ও মাওলানা আবদুল মালেক।

সিন্ধান্ত মোতাবেক মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা মুহাম্মদ যোবায়ের, মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ, ইন্জিনিয়ার ওয়াসিফুল ইসলাম, ধর্মসচিব মো. আনিছুর রহমান ও আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ আবদুল্লাহ প্রতিনিধি দলে থাকবেন বলে জানা গেছে।

প্রতিনিধি দলের জন্য নির্বাচিত আলেম ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাগণ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন।

তাবলিগ জামাতের সংকট নিরসনের লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এর আগেও একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব বৈঠকে উভয়পক্ষের আরও একাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষত তাবলিগ সংশ্লিষ্ট নন-দেশের এমন শীর্ষ উলামায়ে কেরামের উপস্থিতি ছিল এসব বৈঠকে। মাননীয় মন্ত্রী তাদের থেকে পাঁচজনকে তাবলিগ জামাতের উপদেষ্টা মনোনীত করেন। তারা হলেন আল্লামা আশরাফ আলী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস ও মাওলানা আব্দুল মালেক।

আজকের বৈঠকে উপদেষ্টা কমিটির অবশিষ্ট চার সদস্য অনুপস্থিত থাকায় কৌতূহল তৈরি হয়েছে অনেকের মধ্যে।

অনুপস্থিতির কারণ জানতে ফোন করলে আল্লামা আশরাফ আলী জানান, আজকের বৈঠকের কথা তিনি লোকমুখে শুনলেও তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমন্ত্রণ পেলে তিনি যেতেন।

আমন্ত্রণ পাননি বলে অভিযোগ করেন উপদেষ্টা কমিটির অপর সদস্য মাওলানা আবদুল কুদ্দুসও।

তবে তারা এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তারা বলেন, ‘বিষয়টি বিস্তারিত না জেনে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’

উপদেষ্টা কমিটির অন্য সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো উচিত ছিলো বলে মন্তব্য করেন আল্লামা আশরাফ আলী।

তিনি বলেন, ‘আজ আমার একটা বিশেষ প্রোগ্রাম ছিল। তবুও আমন্ত্রণ পেলে আগপিছ করে অংশগ্রহণ করতাম। আমি যেতে না পারলেও অন্যদের উপস্থিতি প্রয়োজন ছিলো।’

দেওবন্দের প্রতিনিধি দলের নাম নির্বাচনেও আরেকটু ভাবা প্রয়োজন ছিল বলে মন্তব্য করেন দেশের শীর্ষ এ আলেম।

আল্লামা আশরাফ আলী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের একজন শীর্ষ নেতা কিছুদিন আগে আমাকে মাওলানা সাদ-এর ব্যাপারে ছাড় দেয়ার অনুরোধ করেছিলেন। আমি বলেছি, কুরআন-হাদিসের ব্যাপারে ছাড় দেয়ার অধিকার আমার নেই। সে হিসেবে আগামীতে কী হবে তা নিয়ে আমি চিন্তিত।’

মাওলানা আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘আমি ঢাকার বাইরে থাকায় বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানি না। ঢাকায় ফিরে আমি বিষয়টির খোঁজ নিবো ইনশাআল্লাহ!’

পূর্ববর্তি সংবাদআফগানিস্তানে তালেবান হামলায় ৩০ পুলিশ নিহত
পরবর্তি সংবাদগ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ : একজন নিহত, আহত ৬