শুকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী যা বললেন

প্রধানমন্ত্রী

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : রোববার (৪ নভেম্বর) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি মাদরাসার সম্মিলিত বোর্ড (আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআাতিল কওমিয়া বাংলাদেশ) আয়োজিত আলেমদের ‘শুকরানা মাহফিলে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কওমি মাদরাসার মাধ্যমেই মুসলমানরা শিক্ষা গ্রহণ শুরু করে। এই মাদরাসার শিক্ষার্থীরাই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন শুরু করেন।

ধর্মীয় শিক্ষা সংযুক্ত হলেই একটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পূর্ণাঙ্গ হয়। আর কেউ যেন কওমি স্বীকৃতি বাতিল করতে না পারে সেজন্য এই আইন (স্নাতকোত্তর স্বীকৃতি) করা হয়েছে।

ইসলাম শান্তির ধর্ম। যারা এই শান্তির ধর্মের শিক্ষা দেন তারা কেউ অবহেলিত থাকবেন না। তাদের সবাইকে মূল্যায়ন করা হবে।

আল্লাহ ছাড়া কারও কাছে মাথা নত করি না। আল্লাহকে মানি, ধর্মকে বিশ্বাস করি। বারবার আমার ওপর আঘাত এসেছে। আল্লাহই রক্ষা করেছেন। আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাই না। মরা-বাঁচা আল্লাহর হাতে। যেদিন তিনি নিয়ে যাবেন সেদিন কেউ ঠেকাতে পারবে না। তবে এটুকু চাই যে, আল্লাহর রহমতে যেন মান-সম্মান নিয়ে যেতে পারি।

আলেমদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা ছাত্রদের শিক্ষিত করছেন, মানুষ করছেন। এর চেয়ে ভালো কাজ আর হতে পারে না। আমরা সনদ দিয়ে তাদের স্বীকৃতি দিয়েছি। এজন্য আইন পাস করেছি। পরবর্তীতে কেউ যেন এসে সেটা বন্ধ করতে না পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি হযরত মোহাম্মদ (স.) এর পথ অনুসরণ করি। আল্লাহর যা কিছু সৃষ্টি, আল্লাহর নবী যে শিক্ষা দিয়েছেন সেই শিক্ষা নিয়ে পথ চলি এবং চলবো। কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়, সকলের প্রতি রইলো আমার শুভ কামনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামনে নির্বাচন, আমার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যদি খেদমতের সুযোগ দেন তাহলে আবারও আসবো। না হলে আফসোস নেই।

রোববার (৪ নভেম্বর) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমি মাদরাসার সম্মিলিত বোর্ড (আল-হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিআাতিল কওমিয়া বাংলাদেশ) আয়োজিত আলেমদের ‘শুকরানা মাহফিলে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথাগুলো বলেন।

কওমি মাদরাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তরের স্বীকৃতি দেওয়ায় এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার পর তার হাতে শুকরিয়ার স্মারক তুলে দেওয়া হয়।

কওমির আলেমদের পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান উপস্থিত ছিলেন এ মাহফিলে।

পূর্ববর্তি সংবাদসোমবার যুদ্ধাপরাধে ৩৫তম মামলার রায়
পরবর্তি সংবাদকেমন চলছে হিন্দুস্তানের ‘লাভ জিহাদ’?