শুকরানা মাহফিলে কোনো পক্ষই রাজনৈতিক বক্তব্য রাখবেন না

আবরার আবদুল্লাহ ।।

আগামী ৪ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া আয়োজিত শুকরানা মাহফিলে কোনো ধরনের রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে কথা হবে না। উলামায়ে কেরাম ও সরকার উভয়পক্ষই এ জাতীয় কথা থেকে বিরত থাকবেন বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শুকরানা মাহফিল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত হাইয়াতুল উলয়ার উপকমিটির বৈঠকে আজ এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।বৈঠকে অংশগ্রহণ করা একাধিক সূত্র ইসলাম টাইমসকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আগামী ৪ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে শুকরানা মাহফিল শুরু হবে এবং বেলা ১২টায় শেষ হবে।
সূত্র বলেছেন, ‘শুকরানা মাহফিলে যারা বক্তৃতা করবেন তাদের প্রতি সাধারণ নির্দেশনা হলো রাজনীতি, নির্বাচন ও দলীয় ইস্যুতে কোনো কথা বলবেন না। এমনকি সরকার পক্ষীয় লোকদেরও এ নির্দেশনা মান্য করার অনুরোধ করা হয়েছে।’

তারা আরও বলেছেন, ‘আলেমদের মধ্যে যারা বক্তৃতা করবেন তাদের প্রতি নির্দেশনা হলো শুকরানাতে (ধন্যবাদজ্ঞাপনে) সীমাবদ্ধ থাকা এবং ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে কথা শেষ করা।’

তবে কোনো সিনিয়র আলেম যদি ভারসাম্য রেখে ইসলামের মৌলিক কোনো বিষয়ে কোনো দাবি প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরতে চান তবে তা বিবেচনা করা হবে।

শুকরানা মাহফিলের মঞ্চে দেশের শীর্ষ ৫০ জন আলেম অবস্থান করবেন। তাদের মধ্যে বক্তৃতা করবেন ৩০ জন।

প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হওয়ার পর ৬ বোর্ডের ৬জন সভাপতি ও হাইয়াতুল উলয়ার কো-চেয়ারম্যান আল্লামা আশরাফ আলী বক্তৃতা করবেন। বাকি উলামায়ে কেরাম প্রধানমন্ত্রী আসার আগেই বক্তৃতা শেষ করবেন বলে জানিয়েছেন সূত্র।

সরকারের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্টমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিবসহ ৭ থেকে ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল মঞ্চে অবস্থান করবেন।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা রক্ষী ও প্রটোকল অফিসাররা প্রয়োজন অনুসারে মঞ্চে ও মঞ্চের নিচে অবস্থান করবেন। শুকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রীর ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট অবস্থান করার কথা রয়েছে।

শুকরানা মাহফিলে কওমি মাদরাসার শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি আইন পাশ হওয়ার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রী ও আল্লামা আহমদ শফীকে ‘শুভেচ্ছা স্মারক’ প্রদান করবে হাইয়াতুল উলয়ার নেতৃবৃন্দ।

পূর্ববর্তি সংবাদড. কামাল ও ফখরুলের নেতৃত্বে সংলাপে যাবেন ঐক্যফ্রন্টের ১৬ নেতা
পরবর্তি সংবাদনার্সের হাতে ১০০ রোগী খুন!