রায়ের তোয়াক্কা না করেই বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির নির্মাণের প্রস্তুতি

ইসলাম টাইমস ডেস্ক :  বাররি মসজিদ ভেঙে ফেলার পর সেই স্থানে রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় ভারতজুড়ে। বিষয়টি নিয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। সেই মামলার শুনানি শুরু হবে আগামী ২৯ অক্টোবর। শুনানি শেষে আসবে রায়। তার আগেই চলছে রাম মন্দির নির্মাণ। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই সিদ্ধান্ত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

রায়ের তোয়াক্কা না করেই রামের ‘জন্মভূমি’-তে মন্দির তৈরির জন্য বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। রাম মন্দির নির্মাণে তারা ৭০ ট্রাক ইট পাঠাচ্ছে অযোধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে নারাজ ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)।

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাভিত্তিক একটি গণমাধ্যম বলছে, ওই এলাকায় (অযোধ্যয়) নতুন করে যাতে অশান্তি না ছড়ায়, সে বিষয়ে সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। অপ্রীতিকর যেকোনো ঘটনা প্রতিরোধে ইতোমধ্যেই অযোধ্যায় নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। ‘রাম জন্মভূমি’র দিকে যাওয়ার রাস্তাও সাধারণের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

ভারতের উগ্রবাদী হিন্দুরা ভেঙ্গে ফেলে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ

বিশ্ব হিন্দু পরিষদ অবশ্য তাদের এই সিদ্ধান্তের মধ্যে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখছে না। তারা বরং আশাবাদী, সুপ্রিম কোর্ট রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষেই রায় দেবে। কাজেই রায়ের পর মন্দির নির্মাণে আর বেশি দেরি করতে চায় না তারা। সে কারণেই এখন থেকে মন্দির নির্মাণের জন্য ইট, পাথর অযোধ্যায় আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

অযোধ্যায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি ওয়ার্কশপ আছে। যেখানে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য সমস্ত রকম প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। আর এই কাজ চলছে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে। বছরখানেক আগেও একবার ইট নিয়ে আসা হয়েছিল সেখানে। কিন্তু এবার সেই পরিমাণ আগের থেকে প্রায় চারগুণ বাড়ানো হয়েছে।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক সভাপতি চম্পত রাই বলেন, ‘আমরা কোনো মতেই পিছিয়ে যাবো না। কারণ, এটা সত্য প্রতিষ্ঠার লড়াই।’

অন্যদিকে এই বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ বাবরি মসজিদের পক্ষে মামলাকারীদের অন্যতম ইকবাল আনসারি। তিনি বলেন, ‘ভোট এলেই বিজেপি এসব চেষ্টা করে। এবারও তাই করছে।’

পূর্ববর্তি সংবাদপ্রতিদিন মোবাইলে লেনদেন হয় ১ হাজার ১১০ কোটি টাকা : অর্থমন্ত্রী
পরবর্তি সংবাদকুষ্টিয়ায় স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি