মইনুল হোসেন জেলে কেন, প্রশ্ন ড. কামাল হোসেনের

ইসলাম টাইমস ডেস্ক : সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মুক্তি চেয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে জাতীয় আইনজীবী ঐক্যফ্রন্টের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।

ড. কামাল বলেন, মানহানির মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন জামিন নিয়েছেন। তারপরও তাকে গ্রেফতার করে সরকার কারাগারে পাঠিয়েছে।

আইনমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘তুমি একজন আইনজীবী, তোমার বাবা মরহুম সিরাজুল ইসলাম একজন স্বনামধন্য আইনজীবী ছিলেন। তোমার কাছ থেকে মানুষ এসব আশা করে না। তুমি সংবিধান পড়, আইনের বই পড়। তুমি ভালো করে জানো মানহানির মামলা জামিনযোগ্য অপরাধ, তারপরও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে কেন কারাগারে নেওয়া হলো?’

এ সময় তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যে ৭ দফা দাবি দেওয়া হয়েছে সেই দাবিগুলো অবিলম্বে মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই। এই সরকারের বিরুদ্ধে আজ সব মানুষ ঐক্যবদ্ধ। সিলেট থেকে আন্দোলন শুরু হয়েছে, সফল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

উল্লেখ্য, রংপুরের মানহানির মামলায় গ্রেফতার সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার পর গত ২৩ অক্টোবর তাকে কেরানীগঞ্জের কারাগারে পাঠানো হয়।

২২ অক্টোবর (সোমবার) রাতে আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখান থেকেই তাকে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে নেয়া হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম (এসিএমএম) কায়সারুল ইসলামের আদালতে মইনুলের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। কিন্তু জামিন মঞ্জুর হয়নি।

গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের একটি টক শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির এক প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’

মইনুলের এ ধরনের বাক্য ব্যবহারে সমালোচনা শুরু হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে কয়েকটিতে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।

পূর্ববর্তি সংবাদবিএনপিতে ফিরলেন সংস্কারপন্থী যেসব নেতা
পরবর্তি সংবাদজাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সংযত হওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী